বিএনপি নাম্বার ওয়ান ‘কাপুরুষ’: ওবায়দুল কাদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৩ পিএম
ছবি-যুগান্তর
বিএনপি ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন না করায় দলটির নেতাকর্মীদেরকে ‘কাপুরুষ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি ৭ নভেম্বরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও দিবসটি এ বছর পালন না করে স্থগিত করেছে। ৭ নভেম্বর হচ্ছে তোমাদের নাম্বার ওয়ান জাতীয় দিবস, তোমরা নাম্বার ওয়ান কাপুরুষ। তাদের জাতীয় দিবস, সেই দিবস পালন করতে এত ভয়। যাদের এত ভয় তাদের নাকি আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন করছে, বিএনপি নিজেরাই যথেষ্ট নিজেদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বন্দি জিয়াউর রহমানকে সিপাহি জনতা অভ্যুত্থানের পরিচয়ে কর্নেল তাহের উদ্ধার করেছেন, সেই জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন। জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে বাঁচতে দেননি। কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছিলেন।
তিনি বলেন, কত মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে জিয়াউর রহমান নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন। কথায় আছে, যে জিয়াউর রহমান নাশতা করতে করতে ফাঁসির আদেশ দিতেন। রাতের খাবার খেতে খেতে ফাঁসির আদেশ দিতেন। এই জিয়াউর রহমানের উত্তরাধিকাররা বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতির ষড়যন্ত্র বহন করে যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমি প্রশ্ন করতে চাই- ৭ নভেম্বর কার জাতীয় দিবস, বিএনপির জাতীয় দিবস। কি দিবস? জাতীয় দিবস, জাতীয় দিবসে বিপ্লব সংহতি দিবসের কর্মসূচি স্থগিত করে দেয় যে দল, তাদের মতো ভীরু কাপুরুষ আর আছে? বলেন? তাদের জাতীয় দিবস জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতেও সাহস পায়নি, এই কাপুরুষদের কাছে রাজনীতি কি মানায়? এই কাপুরুষদের আন্দোলন করার সাহস তো এখানেই শেষ। ২৮ তারিখই ফেলে দেয়।
তিনি বলেন, যারা নিজেদের জাতীয় দিবস পালন করে না, আওয়ামী লীগকে এখনও ভয় দেখায়নি। আমরা তো শান্তি সমাবেশের মধ্যে আছি। এগুলো দেখে ভয়ে নিজেদের কর্মসূচি বাতিল করেছে, এরা কোন দল? এরা আন্দোলন করতে জানে? এদের আন্দোলন ভুয়া। এদের একদফা ভুয়া।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের আবাসিক প্রতিনিধি ঘোষণা করেছিলেন, কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে, তাদের বিবেক আছে?
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মাহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।