আ.লীগ দুই লাখ, বিএনপি সোয়া লাখ লোক সমাগম করতে চায়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই পূর্বঘোষিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। অন্য কোথাও যাওয়া সম্ভব নয় বলে পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছে দলটি।
একইদিনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করবে বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
সমাবেশের বিকল্প আরও দুটি ভেন্যুসহ ৭টি তথ্য চেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল বুধবার।
এর জবাবে বিএনপি পুলিশকে দেওয়া এক চিঠিতে জানিয়েছে যে মহাসমাবেশে এক লাখ থেকে সোয়া লাখ লোক জড়ো হতে পারে এবং তাদের হিসেবে নয়াপল্টনের এই সমাবেশ পশ্চিমে বিজয়নগর মোড় থেকে পূর্ব দিকে ফকিরাপুল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পুলিশকে দেয়া ওই চিঠিতে বলেছেন সমাবেশে এক লাখ থেকে সোয়া লাখ মানুষ জড়ো হতে পারে।
এছাড়া নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করায় তাদের পক্ষে অন্য কোন ভেন্যুতে যাওয়া সম্ভব হবে না।
এদিকে ওসির চিঠির জবাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, সমাবেশে লোকসমাগম সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হবে। সমাবেশে প্রায় ২ লাখ লোকসমাগম হবে।
সমাবেশটি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট থেকে পল্টন মোড়, জিপিও মোড়, শিক্ষা ভবন, গোলাপ শাহ মাজার, নগর ভবন, নবাবপুর সড়ক, মহানগর নাট্যমঞ্চ সড়ক, দৈনিক বাংলা মোড় এবং মতিঝিল সড়ক, স্টেডিয়াম সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। সমাবেশে বক্তব্য প্রচারের জন্য উল্লিখিত স্থানগুলোতে মাইক স্থাপন করা হবে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী-সমর্থক, নারী সংগঠন, তরুণ প্রজন্ম ও সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করবে। সমাবেশে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে।
এই দুই দল ছাড়াও ২৮শে অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে জামায়াতে ইসলামী।
তবে পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দলটির কোন নিবন্ধন না থাকার কারণে সেদিন ওই স্থানে সমাবেশ করার অনুমোদন দেয়া হবে না তাদের।
প্রসঙ্গত, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। ১৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক জনসমাবেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাল্টা শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে নয়াপল্টন থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে। দুদলের একই দিনে বড় সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।