ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের মতবিনিময়
আন্দোলনে ছাত্রসমাজ অতীতের মতো ভূমিকা রাখবে
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৫ পিএম
![আন্দোলনে ছাত্রসমাজ অতীতের মতো ভূমিকা রাখবে](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/10/19/image-730720-1697735133.jpg)
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের মতবিনিময়
সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা, নিরাপদ ক্যাম্পাস ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ৯ দফা দাবিতে ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে এ সভা হয়।
এতে বক্তারা বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন চলছে। যা সামনে চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচ্ছে। তাই আগামী দিনে সরকার পতনের আন্দোলনে ছাত্র সমাজ অতীতের মতো দায়িত্বশীল ভূমিকায় থাকবে।
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে সভায় কবি আবদুল হাই শিকদার, লেখক গবেষক রাখাল রাহা, গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম, মুফতি জাকির হোসাইনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
ছাত্র ঐক্যের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি) সভাপতি তৌফিকুজ্জামান পিরাচা, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি) সভাপতি মেহেদী হাসান মাহবুব, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না, জাগপা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু) সভাপতি মো. সামজিদ রহমান শুভ, ভাসানী ছাত্র পরিষদ আহবায়ক আহমেদ শাকিল, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর) সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ (বিজেপি-পার্থ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর) সভাপতি শেখ ওসমান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ সভাপতি নিজাম উদ্দীন আল আদনান, বিপ্লবী ছাত্র সংহতি সভাপতি ফাইজুর রহমান মনির, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন সমন্বয়ক আহমেদ ইসহাক। সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘বাংলাদেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রসমাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ যে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম গড়ে তুলেছে, এই ঐক্য সব বাধাকে চূর্ণ করে তাদের ৯ দফা দাবির বাস্তবায়ন করতে পারবে।’
লেখক গবেষক রাখাল রাহা বলেন, ‘ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে ছাত্রসমাজ তার করণীয় দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু তারা যে দাবির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ আান্দোলন গড়ে তুলেছিল সেসব দাবির পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়নি। এই সময়ে ছাত্র ঐক্যের পক্ষ থেকে যে ৯ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে, সেসব দাবির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন বলে প্রত্যাশা করি।’
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আজ হুমকির মুখে। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য। মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত করতে ছাত্রসমাজ অতীতে যেমন ভূমিকা রেখেছে, তেমনি এই সময়ে ফ্যাসিবাদের পতনে ও দেশকে মুক্তিযুদ্ধের মূল ধারায় ফেরত আনতে ছাত্রসমাজ অতীতের মতো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে সেই প্রত্যাশা করি।’
সভাপতির বক্তব্যে ছাত্র ঐক্যের অন্যতম সমন্বয়ক ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান বলেন, ‘গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে বাংলাদেশ আজ বিপর্যস্ত। ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ আজ বিপর্যস্ত। প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে ছাত্রলীগ। গণরুম-গেস্টরুমে শিক্ষার্থী নির্যাতন তো রয়েছেই, নির্যাতনের কাঠামোকে ক্লাসরুম পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। আমরা ছাত্রদের সামনে নিরাপদ ক্যাম্পাস, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ডাক নিয়ে এসেছি। আমরা ছাত্রসমাজকে এই আন্দোলনে যুক্ত হবার আহ্বান জানাই।’