সম্প্রতি কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে দলটি। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তদন্ত কমিটিতে আছেন, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির সভায় আরও অংশ নেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির মহাসচিব আরও জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজা সামনে রেখে কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হামলা করেছে। সভা মনে করে সরকার তাদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন করে তা বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়াও সভায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গভীর রাতে দরজা ভেঙে গ্রেফতার, নির্যাতন ও চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশের নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। গত ৬ মাসে কেন্দ্রীয় কমিটির ২৪ জন নেতাসহ বিএনপির ৯৬ জন নেতাকর্মীর সাজা, দেশব্যাপী নতুন মিথ্যা মামলা দেওয়ার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে শহীদ উদ্দিন চৌধুরীসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।