খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন: সৈয়দ ইবরাহিম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫১ পিএম
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও অন্যতম শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে রোববার দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সৈয়দ ইবরাহিমের নেতৃত্বে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
শারীরিক অবস্থার অবনতি ও ঘুমিয়ে থাকায় খালেদা জিয়াকে তারা দেখতে পারেননি। তবে তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে মেডিকেল বোর্ডের অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার ব্রিফিং করেন।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম আরও বলেন, খালেদা জিয়া মাল্টিপ্যাল ডিজিসে আক্রান্ত। এ মুহূর্তে তাকে বিদেশে নিয়ে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে, যা দেশে সম্ভব নয়। বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে অপারেশন করালেও পোস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম দেশে নেই। এ কারণে দেশে তাকে আর কোনো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর বিষয়ে সরকারপ্রধানের কাছে সৈয়দ ইবরাহিম আবেদন করেন।
তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ১২ দলীয় জোটের নেতারাও আশঙ্কায় আছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১২ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিব, জাতীয় পার্টির যুগ্মমহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
৭৮ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ প্রভৃতি রোগে ভুগছেন। এরকম পরিস্থিতিতে তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর তার ছোটভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশসহ (খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো জরুরি) আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে তা নাকচ করে দেওয়া হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।