ডিবিপ্রধান কোন আইনে প্রধান বিচারপতিকে তরবারি দিলেন, প্রশ্ন রিজভীর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১০ পিএম
ফাইল ছবি
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান দেশের প্রধান বিচারপতিকে তরবারি উপহার দেওয়াকে নজিরবিহীন ঘটনা উল্লেখ করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'আমাদের দেশে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী, কোনো অস্ত্রদাতা বা গ্রহিতা যদি অস্ত্র দেয়, যিনি দেবেন এবং যে গ্রহণ করবেন তাদের সাজা হবে।
আরও পড়ুন খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
আমরা কয়েক দিন আগে দেখলাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যিনি প্রধান, তিনি তরবারি দিচ্ছেন দেশের যিনি আইনের অভিভাবক প্রধান বিচারপতি তাকে। এই যে তরবারি দিয়েছেন তার কি কোনো লাইসেন্স আছে আপনাদের কাছে? এর ন্যূনতম সাজা ৭ বছর কারাদণ্ড।
শনিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ওলামা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, 'আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি— হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে সেই সময়ে ইরাকের রাষ্ট্রপতি সাদ্দাম হোসেন একটি অস্ত্র দিয়েছিলেন, যেটি তার বাসায় ছিল। এটার কারণে এরশাদের সাজা হয়েছিল। তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন। এই যে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান তিনি যে তরবারি দিচ্ছেন প্রধান বিচারপতিকে এটা কোন আইনে দিলেন? আসলে ওরা দেশের প্রচলিত কোন আইনকানুন তোয়াক্কা করে না, আমি আগেও বলেছি। তারা মনে করে শেখ হাসিনার কথাই আইন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'যারা শেখ হাসিনার তল্পিবহন করে, যারা শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং ফ্যাসিজমকে সমর্থন করে, তারা যা কিছু করে এটাই হচ্ছে বৈধ। পৃথিবীতে কেনো দৃষ্টান্ত আছে— এ ধরনের ঘটনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান, যিনি দেশের প্রধান বিচারপতিকে তরবারি দিচ্ছেন।
প্রধান বিচারপতি যিনি থাকেন ন্যায়বিচার করার জন্য নীরবে-নিভৃতে কেউ যাতে তাকে পক্ষপাতিত্যের দিকে না নিতে পারেন সেটাই হচ্ছে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত। এত বড় অন্যায় করলেন এর সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সর্বনিম্ন সাজা হবে ৭ বছর জেল, এরশাদ তার উদাহরণ।
খালেদা জিয়া অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দাবি— সরকার তাকে মুক্তি দেবে। তিনি যেখানে উন্নত চিকিৎসা চান, নাগরিক অধিকার হিসেবে সেই দাবি পূরণ করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওলামা দলের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা, যুগ্ম আহ্বায়ক, মাওলানা কাজী আলমগীর হোসেন, মাওলানা কাজী আবুল হোসেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম, মাওলানা মফিজুর রহমান প্রমুখ।