মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আরিফুলকে ‘সাবেক মেয়র’ সম্বোধন করে বিএনপির চিঠি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৮ পিএম
বিএনপির ১০ নেতার পদে রদবদল করা হয়েছে। তিনজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য সিলেটের মেয়র আরিফুল হক।
সিলেটের রাজনীতিতে সাইফুর রহমানপন্থী বলয়ের এই নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে পদোন্নতি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
ক্লিন ইমেজের আরিফুল ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার পদোন্নতিতে খুশি হয়েছেন সমর্থকরা। সিলেট সিটি নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী না হওয়ার পুরষ্কার হিসেবে তাকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
টানা দুইবার সিলেট সিটির মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল। তার দ্বিতীয় মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। তবে দলের নির্দেশে গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত এই সিটির নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। তাই নতুন মেয়র নির্বাচিত হলেও আরিফুল হক চৌধুরী মেয়রের পদে আছেন আগামী নভেম্বর পর্যন্ত।
তাকে পদোন্নতির দিয়ে গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দলীয় প্যাডে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আরিফুল হককে ‘সাবেক মেয়র’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অথচ নিয়ম অনুসারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মেয়াদ এ বছরের ৭ নভেম্বর শেষ হবে। সেই অনুযায়ী বর্তমানেও তিনি মেয়র। অথচ নিজ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা দায়িত্ব ছাড়ার আগেই তাকে সাবেক বানিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, চিঠিতে আরিফুলকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য থেকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য পদে মনোনয়ন প্রসঙ্গে’ শীর্ষক চিঠিতে আরিফুল হকের পদবির স্থানে লেখা রয়েছে– সদস্য, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও সাবেক মেয়র সিলেট সিটি করপোরেশন। পদোন্নতির এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করে নগর বিএনপির প্রবীণ নেতা বলেন, এই আরিফ দলের জন্য গর্বের। সিলেটে একমাত্র তিনি বিএনপি নেতা-কর্মীকে দিকনির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন। কেন্দ্র থেকে দেয়া এমন চিঠি এটি ভুল হতে পারে। তবে এটি দেওয়ার আগে চিন্তা করার দরকার ছিল।
নগর বিএনপির আরেক নেতা বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ চিঠির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। এটি কেন্দ্রের ভুল হয়ে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে আরিফুল হক চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।