বাইডেনের সেলফি প্রিন্ট করে আ.লীগ নেতাদের গলায় ঝুলিয়ে রাখতে বললেন মির্জা ফখরুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২০ পিএম
ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেলফি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেলফিটা বাঁধিয়ে গলার মধ্যে পরে ঘুরেন। সেলফির জন্য কিন্তু র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসানীতি উঠে যায়নি।
রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বদ্ধ অর্থনীতি থেকে মুক্ত অর্থনীতিতে আনতে সংস্কার করেছিলেন সাইফুর রহমান। তিনি ছিলেন আপাদমস্তক সৎ ও মেধাবী একজন মানুষ।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বর্তমানে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো ভ্যাট। এই ভ্যাট চালু করেছিলেন সাইফুর রহমান। ভ্যাট চালু করার জন্য তখনকার পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন মহল থেকে নানা সমালোচনা শুনতে হয়েছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য যা কিছু ভালো সব কিছুই করতেন সাইফুর রহমান। তিনি কাউকে খুশি করার জন্য কিছু করতেন না। দেশের মঙ্গল হয় এমন সব কিছুই তিনি করতেন।
আরও পড়ুন অর্থমন্ত্রী আছেন কী নাই তাও আমরা জানি না: বিএনপি মহাসচিব
এখন সরকার অর্থনীতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ও পরিসংখ্যান দেয় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, উন্নয়নের নামে বিপুল পরিমাণ লুটপাট ও দুর্নীতি করেছে ক্ষমতাসীনরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আমলাতন্ত্রকে ব্যবহার করে শক্তি প্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকতে চায় সরকার। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচর কি করে হবে? নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার আগেই বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে সাজা দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেলফি প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সেলফিটা বাঁধিয়ে গলার মধ্যে পরে ঘুরেন। কদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে কত কথা। এখন কি বুঝব, আপনি সেন্টমার্টিন দিয়ে দিয়েছেন? সেলফির জন্য কিন্তু র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসানীতি উঠে যায়নি।
তিনি আরও বলেন, দেউলিয়া হয়ে গেছে বলেই বাইডেনের সঙ্গে সেলফি তুলে ঢোল পেটাচ্ছেন। ভোটটা ঠিকমতো না করলে কোনো সেলফিই রক্ষা করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, তারা সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। আমরা সেই অবস্থানের পাশাপাশি জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিই।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন? নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা ১০টা আসনও পাবে না। জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না এই সরকারকে।