দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতি উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে জানিয়ে গণফোরাম (একাংশ) সভাপতি ড. কামাল হোসেন ভোটের আগে সংলাপে বসার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেছেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার স্বার্থে অনতিবিলম্বে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার দুপুরে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
একাদশ নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে হয়েছে মন্তব্য করে কামাল হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন হয়েছে, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতি চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।
ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। প্রবীণ এই আইনজীবী আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠন করেন। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন তিনি।
একাদশ নির্বাচনে ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সেই সংলাপে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি অভিযোগ আনে, সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ ‘কথা রাখেনি’।
ভোটের পর ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপি জোটের দূরত্ব বাড়ে। বিএনপি সমমনা ও বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে। এই আন্দোলনে ড. কামাল হোসেনের সম্পৃক্ততা নেই। তবে গণফোরামের অপর অংশের সমর্থন আছে।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণফোরামের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজকের আলোচনা সভা হয়। গণসংগীত দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াসিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের সভাপতি পরিষদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, এসএম আলতাফ হোসেন, মোকাব্বির খান, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, আবদুর রহমান জাহাঙ্গীর, মোশতাক আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, শাহ মো. নুরুজ্জামান, মাহফুজুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
নেতৃত্বের মতপার্থক্যে ২০২১ সালে আলাদা আলাদা জাতীয় কাউন্সিল করে গণফোরাম দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কামাল হোসেন; অন্যভাগে রয়েছেন তারই দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু।