বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, একপক্ষের বক্তব্য না শুনেই ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি- খসরুজ্জামান ও মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রিজভী আহমেদ এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আদেশে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- তারেক রহমানের সাম্প্রতিক দেওয়া সব বক্তব্য অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে হবে। বিচারপতিদের এ আদেশ রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করা।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
তবে সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া কেন্দ্র করে হাইকোর্টের এজলাস কক্ষে বিএনপিপন্থি এবং আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে টানা ৩০ মিনিটের মতো হইচই ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান।
সোমবার সকালে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় কোর্টে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। বিচারপতিরা চলে যাওয়ার সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা শেইম শেইম বলে চিৎকার করতে থাকেন। এর মধ্যে বিচারপতিদের লক্ষ্য করে ফাইল ছোড়া হয়।
প্রসঙ্গত, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।