Logo
Logo
×

রাজনীতি

ওবায়দুল কাদেরের কথায় ভরসা নেই মঈন খানের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪৩ পিএম

ওবায়দুল কাদেরের কথায় ভরসা নেই মঈন খানের

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কিন্তু তাতে ভরসা পাচ্ছেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

তিনি বলেছেন, কথা ও কাজে যদি মিল না থাকে, সেই কথার কোনো দাম নেই। কথা ও কাজে মিল রাখার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ হয়েছে। 

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় মঈন খান এসব কথা বলেন। 

মঈন খানের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের কথা ও কাজে ‘মিল নেই’। এর ‘প্রমাণ’ হিসেবে তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টানেন। 

‘আপনারা দেখেছেন, ২০১৮ সালে আমরা বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানে কি বলা হয়েছিল? সেখানে বলা হয়েছিল যে, ‘আপনারা নির্বাচনে আসুন, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দেব। আমরা সেই কথা বিশ্বাস করেছিলাম, নির্বাচনে এসেছিলাম। পরবর্তীতে আপনারা দেখেছেন, অনরেকর্ড সেই নির্বাচনি প্রচার যেদিন শুরু হয়, প্রথম দিন থেকে আমার ওপরে, আমার মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছে, মহাসচিব মির্জা ফখরুলের মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছিল, সারা বাংলাদেশে আমাদের ওপরে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই আক্রমণ নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত চলেছিল। ‘


হামলার কথা তুলে ধরে বিএনপির অন্যতম জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, হামলার বিষয়ে আমরা ইলেকশন কমিশনের লিখিত বক্তব্য দিয়েছি সেগুলোর রেকর্ড আছে, যা আপনারা দেখেছেন। পরবর্তীতে আপনারা দেখেছেন যে, এমন নির্বাচন হয়েছে যেখানে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। 

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে কারচুপির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সেখানে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, ভোট দিয়েছে চারটি কম্পিউটারের বাটন। আমি ব্যাখ্যা করে দিচ্ছি, একটি বাটন হচ্ছে ডিসি, একটি বাটন হচ্ছে এসপি, একটি বাটন হচ্ছে টিএনও এবং চতুর্থ বাটনটি হচ্ছে উপজেলার ওসি। ঢাকা থেকে নির্বাচনের ফলাফলের শিট নির্বাচনি তিনশ’ এলাকায় বের হয়ে এসেছে, সেটাই হয়েছে সেই নির্বাচনে।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতার আহ্বান, তাদের কথা এবং কাজে মিল থাকুক। তারা গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করতে শিখুক, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে সেই প্রক্রিয়ায় তারা ফিরে আসুক।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে বিএনপির মত বড় দল আসুক, সেটাই চাই। কারণ নির্বাচনটা যত প্রতিযোগিতামূলক হবে, তত দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা আমাদের সেই ইচ্ছেটা বলেছি যে, আমরা একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করতে চাই। যেটা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হবে। এটা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলেছি।

মঈন খান ওবায়দুল কাদেরে এই বক্তব্যে আস্থা রাখতে পারছেন না।

আজকের অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম