১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাসজুড়ে শুরু হবে কঠিন আন্দোলনের নতুন চমক। ওই আন্দোলনে ধাপে ধাপে অনেক দল বিএনপির সঙ্গে মাঠে নামবে।
এমনকি সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা কয়েকটি দলও শেষ পর্বের আন্দোলনে হঠাৎ যুক্ত হতে পারে। এমন দাবি বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রের।
মূলত সেপ্টেম্বরকে আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপ হিসাবে ধরে পুরো পরিকল্পনা সাজাচ্ছে বিএনপি। তফসিল ঘোষণার আগেই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে লাগাতার কর্মসূচিতে যাবে দলটি। এ জন্য যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটের নেতাদেরও যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার যুগান্তরকে বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে আরেকটা ধাক্কা দিতে হবে। সামনে এর বিকল্প কোনো পথ নেই। তাই দাবি আদায়ে অবশ্যই কঠোর আন্দোলনের বিকল্প ভাবছি না। এ ক্ষেত্রে চলমান কর্মসূচির বাইরে ধাপে ধাপে এমন কর্মসূচি আসবে, যেখানে জনগণের সম্পূর্ণ সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হবে।
দলটির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, এ মাসে কয়েকটি সভা-সেমিনারের আয়োজন করছে বিএনপি। সোমবারও রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম: দুঃশাসনের দেড় দশক’ শীর্ষক এক সেমিনার রয়েছে। এ ছাড়া ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। তবে এবার ভিন্নভাবে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হবে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক কিছু নির্দেশনা তৃণমূলেও পাঠানো হয়েছে। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সব কর্মসূচি একদফা আন্দোলনের অংশ হিসাবেই পালন করা হবে। এ জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে জয়ী না হলে ৫০ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন
নেতারা জানান, শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। অর্থাৎ যেভাবে আন্দোলন করা হোক না কেন, তা যদি আখেরে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য বয়ে আনতে না পারে, তা হলে দল ও দেশের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি বয়ে আনবে।