সাইজ করার রাজনীতি বন্ধ করতে বললেন আজমত উল্লা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তৃণমূলের নেতারা খোলা মনে কথা বলেছেন। নেত্রীর সামনে সংগঠনের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরেছেন। অনেকে নির্ভয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামনে এনেছেন। কেউবা দলের মধ্যে কাউকে দাবিয়ে রাখার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
গণভবনে রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ বিশেষ বর্ধিত সভায় জেলা-উপজেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ৪০ জনেরও বেশি নেতা বক্তৃতা করেন। তাদের অনেকের মুখ থেকে যেমন বেরিয়ে আসে দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ৬ ঘণ্টার মধ্যে ১ ঘণ্টার বিরতি দিয়ে ৫ ঘণ্টাই তৃণমূল নেতাকর্মীদের বক্তব্য শোনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্ধিত সভায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান বলেন, আমি হলে ভালো, অপরে হলে খারাপ। এই যে সাইজ করার রাজনীতি তা বন্ধ করতে হবে। ফুল ফুটতে দিতে হবে, যারা বড় ফুল তারা ফুলের গাছ কেটে দেয়। এসব বন্ধ করতে হবে। যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক তাকেই নির্বাচিত করতে কাজ করতে হবে। কিন্তু অনেকেই মনে করে সে নির্বাচিত হলে সে বড় নেতা হয়ে যাবে তার মাথাটা কেটে দেওয়া হয় এমন লোককে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এখানে উপস্থিত সবাই যদি প্রতিজ্ঞা করে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে তবে আগামীতে একমাত্র আওয়ামী লীগ হবে আওয়ামী লীগের বিকল্প।
নোয়াখালী আওয়ামী লীগের নেতা খায়রুল হক সেলিম বলেন, নেত্রী আপনি বলছেন, শতফুল ফুটতে দিন। শতফুল তো ফুটতেই দেয় না, কেটে ফেলা হয়। কেউ যেন এই ফুল কেটে ফেলতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থাকবেন। যারা দলীয় মনোনয়ন নিয়ে এমপি হন, তারা যেন একটু সংযত থাকেন-সে ব্যবস্থা করবেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেন আজমত উল্লা। তিনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের কাছে হেরে গেছেন। দলীয় কোন্দলে তার পরাজয় হয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।