সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ হয়ে যাবে: রব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৮ এএম
ফাইল ছবি
বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন বন্ধ না হলে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে জাতিসংঘে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে যে অবস্থা চলছে, তাতে জাতিসংঘে শান্তি মিশন বন্ধ হয়ে যাবে। পাসপোর্ট পাবে না। গরিবের ছেলেরা শান্তি মিশনে গেলে বাড়তি আয়ে তার বাড়িতে বিল্ডিং হয়। এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশকে এখন মিয়ানমার, কম্বোডিয়ার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। পুলিশের, সরকারের কর্মকর্তাদের ছেলেমেয়েরা আর বিদেশে পড়ালেখা করতে পারবে না। সব বন্ধ হয়ে যাবে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মঞ্চের নেতা আবু ইউসুফ সেলিমসহ গ্রেফতারদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আ স ম রব বলেন, সরকারি খরচে আওয়ামী লীগ সমাবেশে ভোট চাইছে। আগে পদত্যাগ করেন, তারপর ভোট চান। এই সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। আওয়ামী লীগ সরকার দেশটাকে লুটেরাদের রাজ্যে পরিণত করেছে
অভিযোগ করে তিনি বলেন, রিজার্ভ নাই, ডলার নাই। টাকা পাচারকারীদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হবে, তা পাগল ব্যক্তিও বিশ্বাস করে না।
আওয়ামী লীগের ‘খাতিরের ব্যবসায়ীরা’ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছেন বলে সমাবেশে দাবি করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, দুই কোটি টাকার জন্য খালেদা জিয়ার ১০ বছর সাজা দিলেন, এক হাজার কোটি ডলার পাচারের জন্য কত সাজা হওয়া প্রয়োজন? জনগণকে শোষণ করে এই রাষ্ট্র এখন ধনী ও লুটেরাদের।
ভারত ও চীনের প্রসঙ্গ টেনে মাহমুদুর রহমান বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশন পুলিশকে হুঁশিয়ার করেছে। ভারত বলে দিয়েছে, দেশের মানুষের ইচ্ছানুসারে নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগের শরিক বাম নেতারা চীনে গিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন। একে একে এই সরকারের সব দেউটি (বাতি) নিভে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের গলা শুকিয়ে গেছে। ছবিতেও তাদের বিষণ্ন লাগে।