দণ্ডিত জোবাইদা রহমান কি নির্বাচন করতে পারবেন!
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম
এক মামলায় যাবজ্জীবন ও চার মামলায় ২৮ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এবার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানেরও সে পথ একরকম বন্ধ হলো।
বুধবার ওই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এটাই ডা. জোবাইদার প্রথম সাজাপ্রাপ্ত হওয়া।
রায়ে একই সঙ্গে আদালত তারেক রহমানের জ্ঞাতআয়বহির্ভূত ২ কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তারেক রহমানকে ৩ কোটি টাকা ও জোবাইদাকে ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি নৈতিকস্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ডপ্রাপ্ত হলে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে উচ্চ আদালত থেকে সাজা বাতিল বা স্থগিত করা হলে তখন তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
এ বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ৩ বছরের দণ্ড হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী ডা. জোবাইদা নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে তিনি নির্বাচন করতে চাইলে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তারপর আদালত কারাগারে পাঠানোর পর আপিল করার সুযোগ পাবেন তিনি। সে আপিলে তার সাজা বাতিল বা স্থগিত হলেই তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে, গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলায় দণ্ডিত তারেক রহমানও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।