Logo
Logo
×

রাজনীতি

খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির আব্দুল হামিদ, মহাসচিব ইমাদুদ্দীন

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১০:১২ পিএম

খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটির আমির আব্দুল হামিদ, মহাসচিব ইমাদুদ্দীন

খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের ২য় জাতীয় কাউন্সিল ও উলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার মুন্সীগঞ্জের মধুপুর জামিআ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদরাসা মাঠে এ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

সম্মেলনে আল্লামা আব্দুল হামিদকে (মধুপুরের পীর) সভাপতি এবং মুফতি মুহাম্মদ ইমাদুদ্দীনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩০০ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বক্তব্যে আল্লামা আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা মুসলমান। আমাদের বিশ্বাস হলো হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল। তারপরে নতুন করে কেউ নবী-রাসুল হিসেবে আসবেননা। এটা কুরআন-সুন্নাহ ইজমা-কিয়াসের সর্বসম্মত বক্তব্য। এ বিষয়টি দ্বীন ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস। যা অস্বীকার করলে কিংবা সন্দেহ পোষণ করলে ঈমান থাকে না। অথচ তথাকথিত ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ নামধারী কাদিয়ানীরা নিজেদের মুসলিম দাবি করলেও উল্লেখিত বিশ্বাসটি অস্বীকার করে এবং ভারতের জন্ম নেয়া গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে নিজেদের নবী হিসেবে বিশ্বাস করে। যার ফলে তারা মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস থেকে বের হয়ে যায়। তাদের নতুন এক ধর্ম বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটা হলো- কাদিয়ানী ধর্মমত। তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করলে তারা তাদের নতুন ধর্ম কাদিয়ানী ধর্মের অনুসারী হিসাবে এদেশে বসবাস করবে।

সম্মেলনের দেশের শীর্ষ আলেমরা বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে এবং ইসলামের নামে তাদের সকল প্রকাশনা, প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করতে হবে, ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করা অমুসলিমদের জন্য সম্পূর্ণ অবৈধ। অতএব ইসলামের সকল পরিভাষা যেমন কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, মসজিদ, আজান, ইকামত, নবী, মাহদী শব্দ ইত্যাদি তাদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে বলে দাবি জানান।

সম্মেলনে লিখিত দাবি জানানো হয়, ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আব্দুল জলিল ও বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আইনের দৃষ্টিতে কাদিয়ানীরা অমুসলিম বলে যে রায় প্রদান করেছে অতিসত্বর তা জাতীয় সংসদে বিল পাস করে কাদিয়ানীদের ‘অমুসলিম সংখ্যালঘু’ ঘোষণা করতে হবে।

এছাড়া সম্মেলনে পাঁচ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচিগুলো হলো-১. আগামী দুই মাসের মধ্যে সকল জেলায় কমিটি গঠন, ২. দেশের প্রত্যেক জেলার ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ৩. রাজধানী ঢাকায় খতমে নবুওয়াত মহাসমাবেশ, ৪. আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মত পঞ্চগড়ে খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন এবং ৫. কুচিয়ামোড়া খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন।

সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ ইমাদুদ্দীন।  বক্তব্য রাখেন, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, জামিয়া মুহাম্মদিয়ার মুহতামিম মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা রশিদ আহমদ, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতি মোহাম্মদ আলী, আশিকুর রহমান কাসেমী, মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল-আযহারী, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী, নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা আবুল কাশেম আশরাফী, হাফেজ মাওলানা আহমাদুল্লাহ ও মুফতি নাজমুল হাসান বিন নুরী প্রমুখ।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম