বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত
নারীর ক্ষমতায়নে শিক্ষিত ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩, ০৭:২০ পিএম
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়ন করতে হলে তাদের শিক্ষিত ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই নারীরা মর্যাদা পাবে। এতে পরিবারে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বুধবার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা একটি শক্তি। এর অর্ধেক রয়েছে নারী। এখনো আমাদের দেশে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। যেখানে দারিদ্র্য বেশি, সেখানে অসমতা বেশি। সেখানেই নারীর ক্ষমতায়ন খর্ব হয়। প্রধানমন্ত্রী ৮০ শতাংশ দরিদ্র্তা থেকে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছেন। করোনাভাইরাসের আঘাত না হলে এটা ১০ শতাংশে নেমে যেত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখনো দেশে বাল্যবিবাহ রয়েছে। বাল্যবিবাহ আমাদের নারীদের অসমতায় ফেলে। কম বয়সে বিয়ে দিলে একজন মেয়ের কর্মক্ষমতা এবং লেখাপড়া নষ্ট করে দেওয়া হয়। এটা একটা সমস্যা আমরা দূর করার চেষ্টা করছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে সি সেকশান (সিজারিয়ান) বেশি। এখনো প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিকে গেলে ৭০ শতাংশ গর্ভবতী নারীর সিজার করা হয়। এটাও আমাদের কমাতে হবে। এর কারণে নারীদের কর্মক্ষমতা খর্ব করা হয়। আমাদের ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভার কম, আশানুরূপ নয়। এটা আমরা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিট।
‘জেন্ডার সমতাই শক্তি: নারী ও কন্যাশিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে দিবসটি পালিত হয়েছে।
বিশেষ অতিথি বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করাই হবে আমাদের মূল প্রতিপাদ্য, মূল কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেন্ডার সমতা আনয়নে কাজ করছেন। দেশে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নয়, জনসংখ্যাকে দক্ষ করার জন্য কাজ করছে। আমরা ৩০ বছর পরে চীন ও জাপানের চেয়ে এগিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লখুস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান। এতে জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখায় বিশিষ্ট ৪ ব্যক্তি ও ৭টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।