‘জিয়া খালেদা তারেক গণতন্ত্র হত্যার জন্য দায়ী’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৩, ০৯:১২ পিএম
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যার জন্য দায়ী। বিএনপি হচ্ছে ভোট চোর, ভোট ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের দল। তারাই আজকে গণতন্ত্রের জন্য সবক দেয়, যা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
রোববার গোবিন্দগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২ আগস্ট রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে চলেছেন আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছিল সামরিক ছাউনিতে। হ্যাঁ না ভোট করে জিয়া রাষ্ট্রপতি হয়েছিল। সংবিধানকে বুটের তলায় পিষ্ট করেছিলেন। জিয়ার আমলে স্লোগান হয়েছিল- আমরা হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগানিস্তান। জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসিত করেছিলেন। জিয়া মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সেনা অফিসার জওয়ানদের হত্যা করেছে। রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ দিয়ে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারত থেকে ৪৪ হাজার কিউসেক পানি এনেছিলেন। জিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে একটা প্যান্ট পিস উপহার পেয়ে ২৪ হাজার কিউসেক পানি ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিমান বাহিনীর ৫৫১ জন লোককে একই দিনে হত্যা করেছিলেন।
তিনি বলেন, জিয়ার পথ ধরে খালেদা জিয়াও স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের দেশ বানিয়েছিলেন, অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। ভোটারবিহীন নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে বিরোধী দলের চেয়ারে বসিয়েছিলেন। এই খালেদা জিয়াই বলেছিলেন পাগল আর শিশু ছাড়া কোন নিরপেক্ষ লোক নাই। খালেদা জিয়া বিদ্যুৎ ও সার দিতে না পেরে নিরপরাধ কৃষকদের গুলি করে হত্যা করেছিল।
এসএম কামাল হোসেন আরও বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলেও ছায়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তারেক রহমান। তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে সন্ত্রাস, খুন, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। এই হাওয়া ভবনে বসেই তারেক বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য নীলনকশা করেছিলেন। তারেকের কারণেই বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের দেশ হয়েছিল, যুদ্ধাপরাধীদের দেশ হয়েছিল, সন্ত্রাসীদের দেশ হয়েছিল। সেই তারেক জিয়া লন্ডনে বসে পাকিস্তানের আইএসআইর সাথে পরামর্শ করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আজকের সফল প্রধানমন্ত্রী যিনি সততা, সাহসিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশটাকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন সেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তারেক জিয়ার নির্দেশে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপিরা অপপ্রচার করছেন, ষড়যন্ত্র করছেন, মিথ্যাচার করছেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, আগামী ২ তারিখ রংপুরের মহাসমাবেশে লক্ষ লক্ষ লোকের উপস্থিতি প্রমাণ করবে এই দেশে ভোট চোর, ভোট ডাকাত, দুর্নীতিবাজ, অগ্নিসন্ত্রাসী বিএনপিদের কোনো ঠাঁই নাই। জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান এতে সভাপতিত্ব করেন।
পরে পলাশবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। সভাপতিত্ব করেন পলাশবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন; সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যুত চৌধুরীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।