Logo
Logo
×

রাজনীতি

ছাত্রদলের সেই ১১ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম

ছাত্রদলের সেই ১১ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

অবশেষে চার বছর পর প্রত্যাহার করা হলো ছাত্রদলের ১১ নেতার বহিষ্কারাদেশ। সোমবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। 

এতে বলা হয়- ২০১৯ সালের ২২ জুন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট, ইখতিয়ার রহমান কবির, মামুন বিল্লাহ, জয়দেব জয়, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন তুষার, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আজম সৈকত, আব্দুল মালেক, সাবেক সদস্য আজিজুল হক পাটোয়ারী আজিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার সিদ্দিকীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য নেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২২ জুন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদলের ১২ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের তখনকার সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনও ছিলেন; কিন্তু ইতোমধ্যে তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি পদ পেয়েছেন।

২০১৯ সালে ছাত্রদলের নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়। ওই সময় ২০০০ সালের এসএসসি পাশ শিক্ষার্থীরাই ছাত্রদলের কমিটিতে পদ পাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। এরপর হঠাৎ করে ভেঙে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় কমিটি; কিন্তু নতুন কমিটিতে তখন যারা পদপ্রত্যাশী ছিলেন তাদের বেশিরভাগ বয়সের সীমারেখায় বাদ পড়েন। তাই বয়সসীমা প্রত্যাহার করে ধারাবাহিক কমিটির দাবিতে ছাত্রদলের একটি অংশ বিদ্রোহ করে। 

এ নিয়ে দুগ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। ভাঙচুর করা হয় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ও। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতায় দলের সিনিয়র নেতারা কয়েক দফা বৈঠক করেও ব্যর্থ হন। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ১২ জনকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর বহিষ্কার প্রত্যাহারে নানাভাবে চেষ্টা করেন তারা। আর বিদ্রোহ করবে না, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবে বলে হাইকমান্ডের কাছে লিখিত প্রতিশ্রুতিও দেন বহিষ্কৃতরা। কিন্তু অজানা কারণে ঝুলে থাকে তাদের বহিষ্কার প্রত্যাহার। অবশেষে চার বছর পর তাদের বহিষ্কার প্রত্যাহার করা হলো।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম