ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মোকাবেলা করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে: ইনু
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৩, ১১:৩০ পিএম
ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মোকাবেলা করেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেছেন, শহীদ কর্নেল তাহের বীরউত্তম ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ও বিপ্লবী। তিনি ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্র-প্রশাসন-আইন-কানুন এবং পূঁজিবাদী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। শোষণ-বৈষম্য-দুর্নীতির অবসান করে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামের মধ্যেই কর্নেল তাহেরের স্বপ্ন ও আদর্শ বেঁচে থাকবে।
শুক্রবার বিকাল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে হীদ কর্নেল তাহেরের (বীরউত্তম) ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ দিনটি তাহের দিবস হিসেবে পালন করে জাসদ।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর কমিটি সমূহ এবং জাসদের সহযোগী সংগঠনসমূহ শহীদ কর্নেল তাহেরের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
ভোর ৬টায় দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে জেলা-উপজেলা কার্যালয়ে দলের পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, কর্নেল তাহেরের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও আলোচনা সভায় মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে তাহের দিবস পালন করে।
এছাড়াও জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল এবং ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর কমিটি, নেত্রকোনা জেলা কমিটি বেলা ১১টায় নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় কাজলা গ্রামে শহীদ কর্নেল তাহেরের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
আলোচনা সভায় হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দেশি-বিদেশি শক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ধারায় ঠেলে দেয়। শহীদ কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাধারণ সিপাহীরা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও উচ্চাভিলাষী সামরিক অফিসারদের ক্ষমতা দখলের রাজনীতি ক্যু-পাল্টা ক্যুর বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক সিপাহী বিদ্রোহ সংগঠিত করেছিল।
তিনি বলেন, যে দেশি-বিদেশি চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল তারাই জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সিপাহী বিদ্রোহকে নস্যাৎ করতে শহীদ কর্নেল তাহের, বিদ্রোহী মুক্তিযোদ্ধা সিপাহী এবং জাসদের উপর মরণ কামড় হানে। জিয়াউর রহমান তার প্রাণ রক্ষাকারী কর্নেল তাহেরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। সাজানো মিথ্যা মামলায় প্রহসনমূলক বিচারে কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে হত্যা করে, জাসদ নেতাদের দীর্ঘ মেয়াদী কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি তার ভাষণে বলেন, দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্রের রাজনীতি মোকাবেলার সংগ্রামের সমান্তরালেই শ্রমিক-নারী-সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, সমাজ বদলের সংগ্রামে শহীদ কর্নেল তাহের চিরদিন প্রেরণার উৎস হিসাবে থাকবেন।
জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নুর পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জাসদের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, জাসদের সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর জাসদের যুগ্ম সমন্বয়ক নুরুল আখতার, জাসদের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন, নইমুল আহসান জুয়েল, মো. মোহসীন, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সভাপতি মো. নুরুন্নবী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহিবুর রহমান মিহির, জাতীয় কৃষক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন কাউছার, জাতীয় আইনজীবী পরিষদ নেত্রী অ্যাডভোকেট নিলঞ্জনা রিফাত সুরভী, জাতীয় যুব জোটের সহ-সভাপতি আমিনুল আজিম বনী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ননী-মাসুদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমুখ।