Logo
Logo
×

রাজনীতি

গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয়ের তালা ভেঙে কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৩, ০২:৩৮ পিএম

গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয়ের তালা ভেঙে কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয়ের তালা ভেঙে কলাপসিবল গেট লাগানো এবং দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়সহ জরুরি কাগজপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নুরুল হক নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।

তার অভিযোগ, আজ সকালে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব) মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে যান। তখন তারা কার্যালয়ের তালা ভেঙে কলাপসিবল গেট লাগিয়ে দেন এবং কার্যালয়ের ভেতর থেকে দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয়সহ জরুরি কাগজপত্র নিয়ে যান। সেই সময় তারা ঘটনাস্থলে থাকা দলের ২-৩ জন কর্মীর ফোনও কেড়ে নেন তারা।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেও তারা সেখানে অবস্থান করছে বলে জানান রাশেদ।

এ বিষয়ে এক ভিডিও বার্তায় মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, জামান টাওয়ারে গণ অধিকার পরিষদের অফিসে ঘর ছাড়ার যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল এবং ১৭ মাসের ভাড়া বাকি থাকার কারণে তাদেরকে বলা হয়েছিল ঘর ছেড়ে দিতে। তারা সেটা শুনেননি। এজন্য প্রথমে তাদের বিদ্যুৎ লাইন কাটা হয় এবং মৌখিকভাবে তাদের ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য আবারও অনুরোধ করা হয়। তখন তাদের পক্ষ থেকে ফেসবুক লাইভে বা পাবলিক মিটিংয়ে আমার ওপর নানা রকম বিষোদগার করা হয়। এই ঘরের মালিকানা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেন এবং এক পর্যায়ে নুর ঘোষণা দেন যে, এটা তারা দখলে রাখবেন এবং আমি জমির মালিকানা সম্বন্ধে দলিল হাজির করতে না পারলে তিনি এ ঘর ছাড়বেন না।

তিনি বলেন, আমার পৈতৃক সম্পত্তি যখন এ রকম থ্রেটের মধ্যে পড়েছে, তখন আজকে আমি যেভাবে দরজায় তালা লাগিয়েছি, সেটা ছাড়া উপায় ছিল না। আমি অনেক লোক নিয়ে অথবা গণঅধিকার পরিষদের অন্য অংশের কোনো ব্যক্তিকে এ কাজে ব্যবহার করিনি। আমার এখানে সব রকমের মিস্ত্রি আছে, যেহেতু বড় একrটা বিল্ডিং। আমি শুধু একটা কেচি গেট বানিয়ে এনেছি এবং তাদের কাঠের দরজার ওপরে সেটা লাগিয়ে আমি রুমটা সিল করে দিয়েছি। ভেতরে কেউ ঢোকেনি, ভেতরের কোনো জিনিস লুটপাট করা হয়নি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের যা কিছু ভেতরে আছে, আইনসঙ্গত জিনিস, সেগুলো যদি নিয়ে যেতে চান, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেগুলো ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা আমি করব। কিন্তু ঘরের দখল তাদের পুনরায় আমি বুঝিয়ে দিতে পারব না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম