Logo
Logo
×

রাজনীতি

নতুন ভিসানীতির কারণে পশ্চিমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়বে: এবি পার্টি 

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম

নতুন ভিসানীতির কারণে পশ্চিমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়বে: এবি পার্টি 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির কারণে পশ্চিমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছে এবি পার্টি। 

রোববার বিকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করা হয়। আসন্ন বাজেট ঘোষণাকে সামনে রেখে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। 

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি ও উন্নয়ন বিষয়ক গবেষক জিয়া হাসান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শক আবুল কালাম আজাদ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান শক্তি হলো কৃষি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক রপ্তানির বাজার। নতুন ভিসানীতির কারণে বাংলাদেশ পশ্চিমে বড় ধরনের ভাবমূর্তির সংকটে পড়বে তাতে সন্দেহ নেই। এর প্রভাব রপ্তানি খাতেও পড়তে পারে। তখন ডলার সংকট আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে- সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে না পারলে জিএসপি প্লাস সুবিধা পাবে না বাংলাদেশে। এমন পরিস্থিতিতে আসছে বাজেটে দেশের প্রধান দুই রপ্তানি গন্তব্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে রপ্তানি ধরে রাখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনার দাবি জানায় এবি পার্টি। 

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সরকারের ভেতরে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের ফলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম তথা জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে এত বেড়ে গেছে, বাজারে গিয়ে কাঁদতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিপরীতে লাভবান হচ্ছে সিন্ডিকেটের সদস্য সরকার দলীয় মুষ্টিমেয় কিছু গোষ্ঠী। তাই আসছে নতুন অর্থবছরের বাজেট হতে হবে এই সিন্ডিকেট ভাঙার বাজেট। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে বেড়ে চলা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার বাজেট। জনগণকে যেন বাজারে গিয়ে কাঁদতে না হয় বরং তাদের মুখে হাসি ফোটে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের বাজেট। মুষ্টিমেয় কারো হাতে যেন সম্পদ কুক্ষিগত না হয় তার বিপরীতে সাম্য ও সমতা বিধানের বাজেট।

ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ও অকটেনের দাম এখন ৫ থেকে ১০ টাকা কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছে গবেষকরা। আমরাও বলতে চাই- জনগণ যখন মূল্যস্ফীতির চাপে কষ্ট করছে তখন বিপিসিকে মুনাফায় রাখা মোটেই যৌক্তিক হবে না। আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ উঠে গিয়েছিল। যদিও প্রকৃত মূল্যস্ফীতি আরও অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এটা উঠে এসেছে যে, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হার ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। যদি এমনটা চলতে থাকে তাহলে ৭.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেশের কোনো কাজে লাগবে না বলে মনে করে এবি পার্টি। 

জার্মান ফেডারেল সরকারের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রকল্প গবেষক জিয়া হাসান বলেন, ঋণ করে ঘি খাওয়ার বাজেট নীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা। বাকিটা দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ঋণ করা হবে। ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাকে অবাস্তব বলে মনে করি। কর ন্যায্যতা বা সাম্য নিশ্চিত করার জন্য যার আয় ও সম্পদ বেশি তার থেকে বেশি রাজস্ব আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে সম্পদ কর আদায় জোরদার করার দাবি জানাচ্ছি, একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে কর ন্যায্যতার কোনো বিকল্প নেই।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, কর, আয়কর, অগ্রিম আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক, আবগারি শুল্ক ইত্যাদি যদি প্রতি বছর হার পরিবর্তন হলে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, বিশেষ করে খরচ ও মূল্যের তালিকা করা দুরূহ হয়ে পড়ে; এতে বাজেটকেন্দ্রিক ফটকা কারবার, হোর্ডিং ইত্যাদি বেড়ে যায়। তাই ৫টি হারের ব্যাপারে পাঁচ বছরের স্থিতিশীল নীতিমালা ঘোষণা করা আবশ্যক। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, দিনাজপুর জেলার সদস্য সচিব মেহেদী হাসান চৌধুরী পলাশ, লক্ষ্মীপুর জেলা আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন ও সদস্য সচিব চৌধুরী সাকিব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গাজী নাসির, সফিউল বাসার, বারকাজ নাসির আহমাদ, আব্দুল হালিম নান্নু, আমেনা বেগম, অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ প্রিন্স, অপি তালুকদার, সুমাইয়া শারমীন ফারহানা, আমীরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম