ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার আগেভাগেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু করেছে: জিএম কাদের
যুগান্তর প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সরকারের কথা শুনে মনে হচ্ছে, আক্রমণই আত্মরক্ষার ভালো কৌশল। অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। ব্যর্থতা ঢাকতে সরকার আগেভাগেই দোষারোপের রাজনীতি শুরু করেছে। সবার আগে নিজেদের ব্যর্থতা দেখা উচিত।
জিএম কাদের বলেন, পরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যদি নাশকতা হয়, তাহলে নাশকতা ঠেকাতে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। জানমালের নিরাপত্তা ও নাশকতা ঠেকানো সম্পূর্ণ সরকারের দায়িত্ব। সরকারের কথা শুনে মনে হচ্ছে মশকরা হচ্ছে। জনগণের কষ্ট যেন তারা বোঝেই না। সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের তা বুঝতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আগাম দোষারোপের ঘটনায় সাধারণ মানুষ মর্মাহত। দায়িত্বশীলদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলতে হবে। প্রতিটি বক্তেব্যের পক্ষে তথ্য-উপাত্ত ও সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকতে হবে। তাছাড়া ভবিষ্যতে যাতে এমন দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা সাধারণ মানুষ জানতে চায়।
রোববার অগ্নিদুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত নিউ সুপার মার্কেট পরিদর্শন করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি নিউ সুপার মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। জিএম কাদের বলেন, এখন প্রতিদিনই সহানুভূতি জানাচ্ছি আর সরকারকে বলছি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পূরণ দিতে।
জিএম কাদের বলেন, এখন কারো নিরাপত্তা নেই, নিজ উদ্যোগে আমরা যতটা নিরাপদ থাকতে পারি।
আল্লাহর দয়ায় যতটা নিরাপদ থাকা যায়। আমরা ট্যাক্সের টাকায় বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা লালন-পালন করছি। গরিব মানুষের অর্থে তারা বাড়ি-গাড়ি, এয়ারকন্ডিশন ও শানশওকতে বাসবাস করছে; কিন্তু তাদের দায়িত্ব পালনে সফলতা দেখছি না। সরকার নিজেদের সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা কাজে লাগাচ্ছে। দেশ ও জাতির জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে কেউ ভাবছে না।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জণপ্রতিনিধিরা এখন সব ক্ষেত্রে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে না। জনগণও ঠিকমত তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারছে না। এটাই বাস্তবতা। জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তাদের সবার দায়দায়িত্ব আছে, গণমানুষের স্বার্থ রক্ষায় তারা ব্যর্থ হচ্ছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। কেউ আইনশৃঙ্খলা মানছেন না। এতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না সরকার।
জাতীয় পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক এ আদেল, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, যুগ্ম যুব বিষয়ক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম শেখ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।