‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম
রাজধানীর হোটেল রাজমনি ঈশাখাঁয় রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারি। ছবি: যুগান্তর
বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে ১৯৭১ এর ন্যায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান ও মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারি।
বুধবার রাজধানীর হোটেল রাজমনি ঈশাখাঁয় দেশের রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশসহ বিশ্বে দ্রব্যমুল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতির কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষ এক কঠিন সময় পার করছেন। বিভিন্ন কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রির দাম বৃদ্ধির ফলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের ইচ্ছে মত দাম বাড়িয়ে দিয়ে জন-জীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। অপরদিকে কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক দল বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় না এনে, দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার পাঁয়তারা করছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এই প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আমাদেরকে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারি বলেন, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) অতীতের ন্যায় মাঠে থাকবে ইনশআল্লাহ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক নিয়মে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসমূহের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ( বিএসপি)। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সমুন্নত রাখতে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ক্ষমতার পট পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনের বিকল্প আছে বলে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মনে করে না। গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ হলে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটে। অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হলে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। তাই, আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে যেকোনো সমস্যার সমাধান হওয়া বাঞ্ছনীয়। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হলে সৎ, নির্ভীক, দেশপ্রেমিক মেধাবীদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিতে হবে। মেধাবীদেরকে নিয়ে সম্প্রীতিময় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত সত্য ন্যায়ের আদর্শে সুফি দর্শনের আলোকে মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির লক্ষ্য।
দেশের টেকসই উন্নয়ন ও আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে ষড়যন্ত্রকারী, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোঃ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান পীরে ত্বরীক্বত মাওলানা বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির (বিআরপি) চেযারম্যান আল্হাজ্ব উপাধ্যক্ষ ডাঃ এ.কে.এম ফজলুল হক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএনডিপি) চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাপ ভাসানী’র চেয়ারম্যান বঙ্গদীপ এম এ ভাসানী (মোসতাক ভাসানী), বাংলাদেশ মানবতাবাদী পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি আবদুল মাজিদ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতা উল্লাহ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক হাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ তাঁতি লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভীর ইমাম, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পরিষদের নির্বাহী মহাসচিব আল্হাজ্ব মাওলানা আ.ন.ম. মাসউদ হোসাইন আল ক্বাদেরী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজেপি)’র চেয়ারম্যান মোঃ ফয়েজ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার এনামুল নাছির, বাংলাদেশ জনদল (বি.জে.ডি)’র চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন (বিজিএমএ) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ আলী হাওলাদার, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির ফাউন্টার এন্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ নজরুল ইসলাম তামজিল। এছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাড. কাজী মহসীন চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান আকন্দ, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, আজাদ দোভাষ, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল আজিজ সরকার, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. জালাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, সহদপ্তর সম্পাদক এ কে নাহিদ, প্রচার সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ হোসেন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সীমা আক্তার, কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক তৌফিক ইকবাল চৌধুরী পলক, ঢাকা জেলা সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান হারুন, মঞ্জুরুল আনোয়ার চৌধুরী, প্রকাশনা সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমেদ, যুব বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান পায়েল প্রমুখ।