নির্বাচনে না আসলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে: মেয়র লিটন
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম
ছবি : যুগান্তর
নির্বাচনে না আসলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে শনিবার বিকালে রাজশাহী মহানগর যুবলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পঞ্চগড়ে বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ শান্তি সমাবেশ করে মহানগর যুবলীগ ।
রাসিক মেয়র বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, না আসবে। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু যদি না আসে জোর করে আনার কিছু নাই।
কাউকে সেধে নির্বাচনে আনতে হবে, এই দায়িত্ব তো জনগণ আমাদের দেয়নি, সংবিধান আমাদের দেয়নি। এই দায়িত্ব ওই দলেরই। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে বিএনপির অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন হবে।
‘তারা এর আগে ২০১৪ সালে ভোট বর্জন করেছে, ২০১৮ সালে ভোট বর্জন করেছে এবং এইবার নির্বাচন না করলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হবে। সেটি যদি তাদের কাছে ভালো লাগে, তাহলে সেটিই করে আমাদের কোন আপত্তি নেই।’
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা এখন নির্বাচন নির্বাচন বলে প্রাণ দেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে জান দেন, তাদেরকে বলতে চাই যেদিন ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ ভোট আর না ভোট হয়েছিল, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন?
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রপতি চান কি চান না, হ্যাঁ ভোটে বাক্স ভর্তি, না ভোটের বাক্স খালি, সেদিন গণতন্ত্র কোথায় ছিল? যেদিন ’৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে দয়া করে ৩৯টি আসন দেন, বাকি সব আসন নিয়ে চলে যান, সেদিন গণতন্ত্র কোথায় ছিল?
মেয়র লিটন বলেন, যেদিন বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতারা মাস্তানি করে, টেন্ডারবাজি করে, চাঁদাবাজি করে, হল দখল করে, সেদিন গণতন্ত্র কোথায় ছিল? যেদিন হজ্বের জন্য কেনা জাহাজে মেধাবী ছেলেদের নিয়ে গিয়ে মগজ ধোলাই করা হয়, সেদিন গণতন্ত্র কোথায় ছিল? এই সমস্ত কথা ভুলে গেলে চলবে না।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কেন আমাদের সঙ্গে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ কবে কবে শান্তি সমাবেশ করবে বলে দিলে সেদিন আমরা শান্তি সমাবেশ করবো না। অন্যদিন করবো।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছি, আপনারা পদযাত্রা করছেন, করেন। আপনাদের পদযাত্রাকে অনেকে নাম দিয়েছে শবযাত্রা। মানে লাশ ঘাড়ে নিয়ে যে যাত্রা করে সেই যাত্রা। আপানারা শবযাত্রা করেন, আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।
‘কিন্তু পদযাত্রার নামে নৈরাজ্য, অরাজকতা করলে আমরা কিন্তু বসে থাকব না। আমরা রাজপথে সমুচিত জবাব দেব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজপথ দখলে নিয়ে নেব।
রাজশাহী মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ।
সভায় বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, রাসিকের প্যানেল মেয়র-২ রজব আলী, মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি মোখলেছুর রহমান মুকুল প্রমুখ।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল মাসুদ রনি, মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ বাবু, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর তৌহিদুর রহমান কিটু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।