‘বিএনপির ‘চেঁচামেচির’ মধ্যেই বিশ্ব গণতন্ত্র চর্চা সূচকে একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ’
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম
ফাইল ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির অব্যাহতভাবে চেঁচামেচি- দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই। এসবের মধ্যেই ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়েছে। তার মানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত আছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত বিশ্ব গণতন্ত্রচর্চা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা কথা বলেন। সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অহেতুক সমালোচনা করে বলেন যে, আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, সেটি যে মিথ্যা, তা ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্রচর্চা অব্যাহতভাবে সুসংগত রয়েছে। এটি আরও হতো যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করত।
'বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নাই’ মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের সর্বশেষ সম্মেলন কখন হয়েছে সেটা তারা নিজেরাও বলতে পারে না। এক কলমের খোঁচায় বিএনপিতে নেতা হয়, আবার এক কলমের খোঁচায় বাদ যায়। তারা যদি গণতন্ত্র চর্চা করতেন, দেশে সার্বিকভাবে গণতন্ত্র চর্চায় আরও সহায়ক ভ‚মিকা রাখতেন, তাহলে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক ধাপ এগিয়ে থাকতো।
বিএনপি মহাসচিবের ‘সরকারের রশি ধরে টান দেওয়ার সময় এসেছে’ এমন বক্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা তো রশি ধরে টান দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর। সরকারকে রশি ধরে টান দিতে গিয়ে সেই রশি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে তাদেরই কোমরটা ভেঙে গেছে। এখন আবার টান দিতে গেলে তাদের কোমর আরও ভেঙে যাবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা মনে রাখতে হবে সরকারের ভিত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে। এ রশি টানাটানি ১৪ বছর ধরে তারা করেছেন, এতে তাদের কোনো লাভ হয়নি বরং নিজেরাই বারবার রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে।
ড. ইউনূসকে নিয়ে ‘বিশ্বনেতাদের বিবৃতি’র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটিকে বিবৃতি বলা যাবে না, এটি একটি বিজ্ঞাপন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ৪০ জনের নামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন আর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য আছে।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের জেষ্ঠ্য নাগরিক। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই- এভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি আমি বাংলাদেশে দেখি নাই। বিশ্ব অঙ্গনেও এ রকম হয় কিনা জানি না।
এ রকম বিবৃতি কেনা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি, সেটাকে আবার কোটি টাকা খরচ করে প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। যেভাবেই হোক ইউনুস সাহেব নোবেল জয়ী। তার পক্ষে এ রকম একটা বিবৃতি বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো-এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছে। আমার প্রশ্ন- তার এত টাকা কোথা থেকে আসে?