বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের নতুন কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে মুহাম্মদ সাইদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী পুনর্নির্বাচিত হন। এ সংগঠনটি সরকার পতনের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলন থাকা সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক।

মঙ্গলবার রাজধানীর এক রেস্টুরেন্টে আগামী তিন বছরের জন্য ইয়ুথ ফোরামের ৩১ সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে অন্যরা হলেন— সহসভাপতি এমএইচ হাবিবুস সাত্তার, আশরাফুল রহীম, ফারজানা ইয়াসমিন লিপি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বিপ্লব হোসেন, আশিক রহমান মিরাজ, ফিরোজ মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম শুভ, নেছার উদ্দীন রাব্বি, কাজী আনিসুর রহমান মিঠু, অ্যাডভোকেট আজিজুল হক রাসেল, শাহীন রেজা টিপু মুহাম্মদ ইমাম হোসেন, মিলন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ সুফিয়ান, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান, মো. সরফরাজ হৃদয়, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নাসির, অ্যাডভোকেট মেহরাব হোসেন অভি, জননিরাপত্তাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ কামাল হোসেন মজুমদার, তথ্য ও যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাফি, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ ইমাম হোসেইন, প্রচার সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, কার্যকরী সদস্য মুহাম্মদ শাহীন মিয়া, শেখ মুহাম্মদ মনসুর, মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, সালেহ আহমেদ মনির, ফখরুল ইসলাম সুমন ও মাকসুদুল হাসান।

ইয়ূথ ফোরামের নতুন সভাপতি হিসেবে মুহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, ১/১১-এর সরকার যখন সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা বাস্তবায়নে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে কারান্তরীণ করে দেশের রাজনীতিকে এক ভয়াবহ সংকটের মুখে ঠেলে দেয়, কোনো রাজনৈতিক দলই যখন মাঠে নামতে পারছিল না। ঠিক তখন তৎকালীন বিএনপির মহাসচিব মরহুম খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও তৎকালীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মরহুম ব্রিগেডিয়ার (অব.) আ শ ম হান্নান শাহর প্রত্যক্ষ নির্দেশে 'বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম' গঠিত হয়। 

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময় এ সংগঠনটি গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, মানববন্ধনসহ চারশতাধিক প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করেছে। জনগণের মৌলিক অধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে বলিষ্ঠ কণ্ঠে সদাসর্বদা সোচ্চার থেকেছে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম।