আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার অনেক দূরত্ব: কাদের সিদ্দিকী
যুগান্তর প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৯ পিএম
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, আমি আওয়ামী লীগ করি না। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার অনেক দূরত্ব আছে। আমি দল করি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের, আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগ সত্যিই একটি মস্তবড় দল। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে গ্রাস করেছে। তার যে সুফল সেটা আওয়ামী লীগ গ্রহণ করছে। এটা অনেক দিন করতে পারবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আওয়ামী লীগের চাইতেও সুসংগঠিত দল হতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের চাইতে আওয়ামী লীগের সুবিধা বেশি হবে।
মঙ্গলবার বিকালে শহরের সোনার বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, এমপি হওয়ার জন্য, মন্ত্রী হওয়ার জন্য, সরকারে যাওয়ার জন্য, টাকা পয়সা বানাবার জন্য আমি দল গঠন করি নাই। এখন লুটপাটের সময়। সেজন্য অনেকের হয়ত মনে হতে পারে যে, আমাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন করা, এমপি হওয়া, সরকারে যাওয়া। অনেকে মনে করেন সরকারে না গেলে কিছুই করা যায় না, ক্ষমতা হাতে না থাকলে কিছু করা যায় না। আমি এ ধরনের রাজনীতি কখনই করি নাই, ভবিষ্যতেও যে কখনো করব এটা গ্যারান্টি দিয়ে কেউ বলতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু, আমাদের পিতা বঙ্গবন্ধু, আমরা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগও বলবে তারা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করে। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করলে যারা বঙ্গবন্ধুর পিঠের চামড়া তুলে নিতে চায় তাদের দলে রাখতো না, মাথায় তুলতো না। বঙ্গবন্ধু ৭৫ সালে মারা গেছেন। যারা এই মুত্যুর জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, রাস্তা বানিয়েছে, সেই জাসদের গণবাহিনীকে তারা মাথায় নিত না।
শাজাহান খানকে ইঙ্গিত করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, নৌমন্ত্রী ছিলেন এক সময় কত আওয়ামী লীগের লোক মেরেছে, কত মুক্তিযোদ্ধা যে মেরেছে তার হিসাব নাই। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগ তাদের নিত না।
দলের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হালিম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মিসভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক, কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ বীরপ্রতীক, সদস্য শামীম আল মনসুর সিদ্দিকী, মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।