দু’দিনের কর্মসূচি
ইতিহাস বিকৃতির পাঠ্যবই বাতিল করতে হবে: চরমোনাই পীর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ভুলে ভরা ও ইতিহাস বিকৃতির পাঠ্যবই সংশোধন নয়, বাতিল করতে হবে। সে সঙ্গে সত্যনিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও উলামাদের সমন্বয়ে নতুন করে বই লিখতে হবে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে সুইডেন ও ডেনমার্কে কুরআন পোড়ানো ও অবমাননার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের সঙ্গে গোলটেবিল আলোচনা-এ দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
চরমোনাই পীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাঠ্যপুস্তকের বিকৃতি ঘটানো এবং ইতিহাস থেকে মুসলমানদের মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলার প্রচলিত ইতিহাসের বিরুদ্ধে গিয়ে পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম শাসনকে দখলদারিত্ব ও উপনিবেশিক শাসন বলা হয়েছে। ইতিহাস খ্যাত স্বাধীন সুলতানি আমল ও বারো ভূঁইয়াদের গৌরবময় ইতিহাসও অস্বীকার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে জনগণের বোধ বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক উসকানি, তথ্য ও ইতিহাস বিকৃতি, বিতর্কিত ও অবৈজ্ঞানিক মানব সৃষ্টিতত্ত্ব অনুপ্রবেশ, ট্রান্সজেন্ডার, পৌত্তলিক ও ব্রাহ্মণ্যবাদী সংস্কৃতির আধিপত্য, ইসলামকে ভিনদেশী সাব্যস্ত করা এবং প্লেজারিজমের মতো নিন্দনীয় কাজের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য উদ্বেগ ও হতাশার।
চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জোরালোভাবে এসব ঘটনায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সেই সঙ্গে জানাতে চায় যে, বাংলা একটি রাজনৈতিক একক ভূখণ্ড হিসাবে গড়ে উঠেছে মুসলমানদের হাতে। বাংলা ভাষার বিকাশও হয়েছে মুসলমানদের হাতে। এটা ইতিহাসের সত্য ঘটনা। এর বাইরে বিদেশি কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ইতিহাস বাংলাদেশে চলতে দেওয়া যায় না। সুতরাং এই মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিকৃতি যারা আমাদের শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে সংযোজন করেছেন তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম প্রমুখ।