‘রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে তারেক বিদেশে, খালেদা বাসায়’
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৫ এএম
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়া বাসায় গিয়ে রাজনীতি করবেন না এমন মুচলেকা দিয়েছেন। আর মুচলেকা দিয়ে বিদেশে গিয়েছিলেন তার ছেলে তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় একথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার ভাই ও বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, হাসপাতাল থেকে বাসায় আনার জন্য। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের বাসায় গিয়ে রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাজনীতি করবে না। মুচলেকা দিয়েছে। অথচ বাসায় গিয়ে বলছে ১০ ডিসেম্বর ক্ষমতা দখল করবে? শেখ হাসিনার পতন ঘটাবে? এসব হল জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও তাদের লোকদের কিছু খোরাক দেওয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩৭ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ না থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন শেখ সেলিম।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, একুশে আগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানের ৩০ বছর সাজা হয়েছে। মানিল্ডারিং মামলায় ৭ বছর সাজা হয়েছে। তারেক জিয়া কখনোই ঢাকায় আসবে না। ঢাকায় আসলে তাকে জেলে যেতে হবে। রাজনীতি তো দূরের কথা, কখনও নির্বাচনই করতে পারবে না।
‘রাষ্ট্র মেরামত’ নিয়ে বিএনপির রূপরেখার সমালোচনা করে তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে শেখ সেলিম বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বাংলাদেশ মেরামত করতে চায়। আরে আগে তো তোমার মেরামত করা দরকার। তুমি পারলে বাংলাদেশে আস। তুমি যদি বাংলাদেশে আস, তাহলে জনগণ তোমাকে কীভাবে মেরামত করবে, অধীর আগ্রহে তোমার জন্য বসে আছে। কিন্তু আসবে না, ও কোনো দিন বাংলাদেশে আসবে না।
সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে জানিয়ে শেখ সেলিম বলেন, বিএনপি যদি একটার পর একটা নির্বাচন না করে তাহলে তাদের পরিণতি মুসলিম লীগ ও ভাসানী ন্যাপের মতো হবে। বাংলাদেশে কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে বিপক্ষের শক্তি কখনোই বিজয়ী হতে পারে না।