গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার নিয়ে বিদেশিদের নাক গলানোর কিছু নেই: সংসদে বাবলা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:২৩ এএম

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, আগামী বছরের শুরুতেই আমাদের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। নির্বাচন সামনে রেখে কিছু দূতাবাসের কর্মকর্তা আর তথাকথিত কয়েকটি মোড়ল দেশের প্রতিনিধিরা আমাদের দেশে ছোটাছুটি করা শুরু করে দিয়েছেন। তারা আমাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার শিখানোর বুলি ছুড়ছেন।
বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী।
বাবলা বলেন, কোনো দেশের পরামর্শ বা আদেশ মেনে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা পরিচালিত হতে পারে না। আমরা চাই, সাংবিধানিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। আর সে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করুক। জনগণ যে দলকে ভোট দেবে সে দল রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে। এখানে বিদেশিদের নাক গলানোর কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, আবারও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করার কারণে অসাধু ব্যাবসায়ীরা আরেক দফা বাড়াবে পণ্যমূল্যের দাম। এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে সরকারের উচিত ছিল, বিদুৎ খাতের দুর্নীতি, সিস্টেম লস, অনিয়ম বন্ধ করা। কিন্তু তা না করে বরাবরের মতো সরকার আবারও উল্টো পথে হাঁটল।
ঢাকা-৪ আসনের সাংসদ বাবলা বলেন, গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে জনগণের কষ্ট আরও বেড়ে গেল। এমনিতেই নানা অজুহাতে পণ্যমূল্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে উৎপাদন খরচসহ সর্বত্র এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
বাবলা বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও এখনো জাতি হিসেবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এক হতে পারি না। সরকারি দল বলে বেড়ায় দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আর কথিপয় বিরোধী পক্ষ চিৎকার করে বলে, দেশে গণতন্ত্রের বদলে স্বৈরতন্ত্র চলছে। সরকারি দল বলে, দেশের উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে চলেছে, আর কথিপয় বিরোধী পক্ষ বলে, উন্নয়নের নামে দেশে হরিলুট চলছে।
তিনি বলেন, বিজয় অর্জনের ৫১ বছর পরও দেশের জাতীয় সংকট সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলো এক টেবিলে বসে না। যদিও সরকারি দলের চোখে দেশে কোনো সংকটই নেই, আর রাজপথের কয়েকটি বিরোধী দলের চোখে পুরো দেশটা সংকটে। যারা সরকারে থাকে তাদের চোখে বিরোধী দলের সব কর্মসূচি হয় ধ্বংসাত্মক। আর বিরোধী দলের চোখে সরকারি দলের সব কর্মকাণ্ড হয় জনস্বার্থবিরোধী।