শনিবার দাউদকান্দিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায় হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই অনির্বাচিত সরকার তাদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য আবার এখন থেকেই সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। এটি আমাদের দলের ওপর হামলা।
রোববার গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল আমাদের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ঈদপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করতে তার বাড়ি দাউদকান্দিতে তার বাসভবনে গিয়েছিলেন এবং সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। ওইখানে তিনি বের হয়ে তিতাসে তার একটি নিমন্ত্রণ ছিল সেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করার জন্য যখন তিনি বের হয়েছিলেন, তখন অতর্কিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা, ইটপাটকেল ছুড়ে তার ওপরে এবং যারা তার সঙ্গে ছিলেন তাদের ওপর আক্রমণ করে। ড. মোশাররফের ওপর ফিজিক্যালি আক্রমণ বলে আমরা এটিকে মনে করি। আক্রমণটা এত তীব্র ছিল যে, কর্মীরা ড. মোশাররফ হোসেনকে তাকে বাসায় তুলে দেন এবং গেট বন্ধ করে দেন। তার পর বৃষ্টির মতো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ইট মারতে থাকে, পাথর মারতে থাকে…।
‘কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে এবং খন্দকার মোশাররফ হোসেন সেখান থেকে বেরিয়ে যান। যেহেতু তিনি আমাদের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র লিডার, তার ওপরে হামলাকে আমরা মনে করি স্থায়ী কমিটির ওপর হামলা, আমাদের দলের ওপর হামলা। আমরা এটাকে ছোট করে দেখতে পারি না। আওয়ামী লীগের এই হামলায় প্রমাণ হয়েছে যে, তাদের চরিত্রের এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। বরং তারা নতুন উদ্যোমে বিএনপি তথা ভিন্নমতকে বিরোধী দলকে নির্মূল করার, দমন করার জন্য তারা চরম সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়েছে। গণমাধ্যমকে তারা নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে। আপনারা দেখেছেন যে, সংবাদমাধ্যমের যে সূচক করা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে ফ্রিডম অব প্রেস কতটুকু আছে, সেখানে বাংলাদেশ ১০ ধাপ নেমে গেছে। এর থেকে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে একটা স্বৈরাচারী দেশে পরিণত হয়ে গেছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ওপরে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
রমজানে নরসিংদীর পলাশে ইফতার মাহফিলে স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এবং বরিশালের গৌরনদীতে সাবেক সাংসদ জহির উদ্দিন স্বপনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন আহমেদকে চুরিকাঘাত করার ঘটনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের চরিত্র এতটুকু বদলায়নি। বরং তারা ভয় দেখিয়ে বিরোধী দলকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। মূল উদ্দেশ্যটা হচ্ছে, তাদের যে লক্ষ্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তারা সন্ত্রাস, ভয়ভীতি দেখিয়ে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে।