মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘বিতর্কিত মন্তব্যের’ অভিযোগে নড়াইলে দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি এসএম মবিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে আজ শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতাযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’
তার এই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নড়াইলের জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রায়হান ফারুকী ইমাম ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে একটি মামলা করেন।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের আদালতে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে আরও একটি মানহানির মামলা করা হয়।
এ ছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে ওই দিনই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামেও একটি মানহানির মামলা করা হয়। মামলা দুটি করেন শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ আশিক বিল্লাহ।