সিইসি ঢাকা সিটিতেও ভোট লুটের নতুন বায়োস্কোপ দেখাবেন: রিজভী
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৪৬ পিএম
বিক্ষোভ মিছিলে রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) একাদশ নির্বাচনে মিডনাইট ভোটের পর এবার ইভিএম দিয়ে ভোট লুটের নতুন আরেকটি বায়োস্কোপ দেখাতে যাচ্ছেন।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে আবার কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
নির্বাচন কমিশন ঢাকা সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সুষ্ঠু ভোট চাইলে রোজ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী হামলা এবং গ্রেফতার করা হত না। এসব জেনেও নির্বাচন কমিশন উদাসীন থাকত পারত না।
এই নির্বাচন কমিশনকে দেশের মানুষ ক্ষমা করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সিইসির অধীনে এ পর্যন্ত যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে শুধু একতরফা, ভোট লুট, রাতের আঁধারে ব্যালটে সিল মারার নির্বাচন হয়েছে। যোগ হয়েছে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য ও তাণ্ডব। এসব দেশের মানুষ কোনো দিন বিস্মৃত হবে না।
খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে রিজভী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গেলেও এখন পঙ্গু অবস্থায় আছেন এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছেন। উচ্চতর আদালত এহেন গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিকে জামিন না দেয়ায় সারাদেশের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম নিয়েছে। এই ঘটনায় প্রমাণ হয়, রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ কত নিষ্ঠুর কত নির্মম। সরকার খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করলেও বিশ্ব মিডিয়ায় তার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সরকারি হুমকির চাপে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সম্পূর্ণ সংবাদ পরিবেশন করতে পারছে না।
খালেদা জিয়ার সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার চেয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার ওপর হিংসা-প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা বন্ধ হোক। খালেদা জিয়াকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকার দেয়া হোক। খালেদা জিয়ার ওপর সরকারি জুলুমের বিরুদ্ধে সমবেত জনতা এখন রুখে দাঁড়িয়েছে। খালেদা দেশের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে সব সময় সোচ্চার কণ্ঠ বলেই প্রতিহিংসার আগুন নেভাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তাকে কারাবন্দী করে তিলে তিলে নিঃশেষ করতে চান। আমি আবারও অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তাকে তার পছন্দের হাসপাতালে সুচিকিৎসার সুযোগ দানের দাবি জানাচ্ছি।
মিছিলে অংশ নেন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাজী মুজিবুর রহমান, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাপ মঞ্জুর, জেএম আনিসুর রহমান, হাজী ফিরোজ কিবরিয়া, রেজাউল করিম রানা, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী প্রমুখ।