টেলিটকে বিনিয়োগে আগ্রহী ৬ দেশ: মোস্তফা জব্বার

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:১৩ পিএম

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মোস্তফা জব্বার। ফাইল ফটো
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, সরকার টেলিটক এবং পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক (৫ জি) পরিষেবাতে বিনিয়োগ করতে চায় এমন হাফডজন বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছে।
জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, রাশিয়া, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসব বিদেশি সংস্থা এসেছিল বলে জানান তিনি।
শনিবার নিজ কার্যালয়ে টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, একটি সংস্থা ইতিমধ্যে টেলিটকের বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসায়ের প্রস্তাব আমাদের পাঠিয়েছে এবং আমরা এটি বিবেচনা করছি। এছাড়াও আরো কিছু সংস্থা বাংলাদেশে ৫জি পরিষেবার জন্য লাইসেন্স পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
বাংলাদেশে বিনিয়য়োগ করতে বিদেশি টেলিকম সংস্থাগুলো কেমন আগ্রহী তা বোঝাতে মোস্তফা জব্বার বলেন, আমি এতো বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আছি যে, আমি ইতিমধ্যে একটি চাপযুক্ত পরিস্থিতিতে আছি। আমাদের এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে হবে।
তবে টেলিটকের নেটওয়ার্ককে আরো শক্তিশালী করতে সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, টেলিটকে আরও ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব রেখেছি আমরা। যা বাস্তবায়ন হলে অপারেটরের কভারেজ স্তরকে ভৌগোলিক অবস্থানের ৮০ শতাংশে প্রসারিত করবে, যা এখন প্রায় ৩০ শতাংশ।
মন্ত্রী জানান, গ্রামীণফোন এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে যেখানে টেলিটকের বিনিয়োগ মাত্র ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ।
মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়াতে হলে বাজারকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই বলে মত দেন জব্বার।
টেলিকম সেক্টরে বিনিয়োগ নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি কলরেট ব্যয় বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করেন মন্ত্রী।
কলরেট সংশোধনীর কারণে গ্রাহকদের জন্য ব্যয় কিছুটা বেড়েছে স্বীকার করে মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যয় কমাতে এখন আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যয় কমানোকে আমার প্রথম অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তবে সবকিছু আমাদের হাতে নেই বলে আমি এটি নিশ্চিত করতে পারি না।
তিনি বলেন, ৫৮৭ টি সরকারি বিদ্যালয় ও কলেজে বিনামূল্যে ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে যাচ্ছি আমরা। আমি মনে করি ইন্টারনেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বিনামূল্যে হওয়া উচিত এবং এটি শিক্ষার্থীদের অধিকার।
কল ড্রপ প্রশ্নে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, একজন গ্রাহক হিসাবে আমি বিপুল সংখ্যক কল ড্রপ পেয়েছি। এটা সত্যি খুবই বিরক্তিকর। এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটরেগুলো ওপর অসন্তুষ্ট আমি।
উল্লেখ্য, আগস্ট ২০১৮ সালে, সরকার প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন কল চার্জ ০.৪৫ টাকা স্থির করেছিল এবং ভ্যাট এবং অন্যান্য করের সাথে এটি কমপক্ষে ০.৫৪ টাকায় দাঁড়ায়।
কিন্তু গ্রামীণফোনসহ অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলো গড়ে ০.৭৩ টাকা চার্জ নিচ্ছেন এখন। সংশোধন করার আগে প্রতি মিনিটে ০.৬৭ টাকা ছিল।
এ বিষয়ে জব্বার বলেন, কর নীতি এটির জন্য অন্যতম বাধা।
ফাইবার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ছাড়া ৫জি ব্যবহারযোগ্য হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে একটি ফাইবার অপটিক সংযুক্ত নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছি আমরা। আগামী বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আপনি এমন কোনও ইউনিয়ন পাবেন না যেখানে ফাইবার অপটিকাল সংযোগ নেই।