Logo
Logo
×

রাজনীতি

‘জোর করে ২৯২ সিট দখল করা যায়, ভালোবাসা পাওয়া যায় না’

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:২৫ এএম

‘জোর করে ২৯২ সিট দখল করা যায়, ভালোবাসা পাওয়া যায় না’

মঈন খান। ফাইল ছবি

৩০ ডিসেম্বর ভোটের সমালোচনা করে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, রাজনৈতিক মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে ৩০০ সিটের মধ্যে ২৯২ সিট দখল করা যায়, কিন্তু জনগণের ভালোবাসা পাওয়া যায় না।

রোববার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

সরকারের ষড়যন্ত্রে খালেদা জিয়া কারাবন্দি এমন অভিযোগ করে মঈন খান বলেন, সংসদ ও বিচার বিভাগ সরকারের দখলে। তাই আগামী ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন হবে কি না, তা একমাত্র সরকারই জানে। তিনি বলেন, আইনের প্রয়োগে নয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি হচ্ছে না রাজনৈতিক কারণে। তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে।

আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পলায়নপর শক্তি দাবি করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য এদেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল। আমরা জানি, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বলে দাবি করে সেই তারা ছিল পলায়নপর শক্তি। তারা সাহস করে সামনে এসে যুদ্ধ করতে পারেনি। কিন্তু দেশের মানুষ জিয়াউর রহমানের আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে নেমে এসেছিল। 

সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কিনা প্রশ্ন রেখে বিএনপির অন্যতম এই নীতি নির্ধারক বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা অনেক বড়াই করে বলি। তবে এটা বড় কথা নয় মুখে কে কী বলল। এই সরকারের সময় সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের যখন অবমাননা হয়, তখন প্রশ্ন জাগে এই সরকার সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কি না।

স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিষয় ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, ক্ষমতাসীনরা ফলাও করে প্রচার করে তারা না কি ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু তারা এটা বলে না বিশ্বের নামিদামি একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলে দিয়েছে, বিশ্বের যে পাঁচটি দেশে ধনী-গরিবের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থানে। যে দেশে ধনী-গরিবের ব্যবধান সর্বোচ্চ হারে বাড়তে পারে, সেদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি কীভাবে হলো?

এসময় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের আহবায়ক শামা ওবায়েদ, ওলামা দলের সভাপতি শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম