আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। আগামী তিন বছরের জন্য এই পদের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
নিখিলের জন্মস্থান চাঁদপুরের মতলব থানার হরিনা গ্রামে। জন্ম চাঁদপুরে হলেও ঢাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়।
তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই রাজনীতিক লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে নাম লেখান।
ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে ১৯৮৭ সালে যুবলীগে যোগ দেন নিখিল। তৎকালীন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের একটি আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
১৯৯৩ সালে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। সেই সময় যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
২০০১ সালের দিকে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ২০১২ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসনে (কাফরুল ও মিরপুর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন নিখিল।
নিখিলের বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। চাঁদপুর জেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।
সেই সুবাদে নিখিলের শৈশব-কৈশোর কেটেছে আওয়ামী রাজনীতির ঘনিষ্ট পরিমণ্ডলে।
প্রসঙ্গত গতকাল শনিবার নিখিলকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য কাউন্সিলরদের কাছ থেকে নামের প্রস্তাব চাওয়া হলে সাতজনের নাম আসে। তারা হলেন- মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহিউদ্দিন মহি, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, সুব্রত পাল, মনজুরুল আলম শাহীন, ইকবাল মাহমুদ বাবলু, বধিউল আলম বধি।
এরপর নিজেদের মধ্যে সমঝোতার জন্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের নির্দেশ দেন। পরে তারা সমঝোতায় ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পরামর্শক্রমে মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।