মির্জা ফখরুল হিংসায় কাতর হয়ে আবোল-তাবোল বকছেন: হানিফ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৮ পিএম
কুমারখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নাকি মির্জা ফখরুলের চোখে পড়ে না। মির্জা ফখরুলের চোখে হয় ছানি পড়েছে, না হয় হিংসায় কাতর হয়ে তারা আবোল-তাবোল বকছেন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন দেখতে হলে আপনি কুষ্টিয়ায় আসেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অবদানে কুষ্টিয়ায় যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে আপনি সেটা দেখে যান। তাহলে বুঝবেন সারা দেশে কি পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে।
রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদীর ওপর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তুর উদ্বোধন শেষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে চরম হিংসা কাজ করে। আপনি দেখবেন পাশের বাড়ির লোকজন যখন ফ্রিজ-টিভি কিনে আনে, তখন প্রতিবেশী কিনতে না পারলে তার মধ্যে হিংসা হয়। এই হিংসা কাজ করছে এখন মির্জা ফখরুলদের মধ্যে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক বলেন, হিংসাতো হওয়ার কথা। কারণ তারা যখন ক্ষমতায় ছিল ম্যাডাম জিয়া তার বেটা মিলে দেশটাকে দুর্নীতিতে ছয়লাব করে ফেলেছিল। একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী আরেক হাওয়া ভবন বানিয়ে সরকারের মধ্যে আরেক প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নান খানের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী ও কুমারখালী পৌর মেয়র শামসুজ্জামান অরুণসহ অন্যরা।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল দেশের মানুষকে গণতন্ত্র শেখাতে আসেন। উনার কাছ থেকে কী গণতন্ত্র শিখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মিকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের এমপিদের হত্যা করা হয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাদের গণতন্ত্র মুখে।
হানিফ বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র মানেই আগুন সন্ত্রাস ও মানুষ পুড়ানো। বিএনপির গণতন্ত্র মানেই দুর্নীতি আর লুটপাট।
তিনি বলেন, বিএনপির সময় ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। কারণ সব সারের ব্যবসা করতো তাদের দলের নেতারা। সময় মতো কৃষকরা সার পাননি। বরং সার চেয়ে গুলি খেয়ে কৃষকদের মরতে হয়েছে। এই হচ্ছে তাদের উন্নয়ন।
জনসভার আগে গড়াই নদীর ধারে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠনক শহীদ গোলাম কিবরিয়ার নামে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তুর উদ্বোধন করা হয়। কুমারখালী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘ কয়েকযুগের দাবি ছিল গড়াই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সেতু পাচ্ছে কুমারখালীবাসী। সেতু না থাকায় ৫টি ইউনিয়সহ আশপাশের কয়েক উপজেলার হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পারাপার হয়ে আসছে। সেতুটি নির্মাণ শেষ হলে কুমারখালীর সঙ্গে শৈলকুপাসহ মাগুরা জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও উন্নতর হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবখানে গতি আসবে।