Logo
Logo
×

রাজনীতি

গণফোরামে ফেরা নিয়ে যা বললেন সুলতান মনসুর

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৫ মে ২০১৯, ০২:৪৮ পিএম

গণফোরামে ফেরা নিয়ে যা বললেন সুলতান মনসুর

সুলতান মনসুর। ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের মনোনয়নে জয়ী হওয়া দুই সংসদ সদস্যের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ড. কামাল হোসেনের দল। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদকে দলে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর সিলেট-২ আসন থেকে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচন করা মোকাব্বির খানকে দেয়া শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার করা হতে পারে।দলের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদে যোগ দেয়ায় পর এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে গণফোরাম। এদিকে বিশেষ কাউন্সিলের পর আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।এই সম্মেলনেই বিষয়টি খোলাসা করা হবে বলে জানা গেছে।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। নতুন কমিটির ঘোষণা করা হবে। কমিটি ঘোষণায় থাকছে নতুন চমকও। বহিষ্কৃত সুলতান মনসুরকে দলে ফিরিয়ে এনে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।  

তবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলেও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ গণফোরামে ফিরবেন কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে সুলতান মনসুর বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরেই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। তবে যেহেতু রাজনীতি করি, মানুষের সঙ্গে থাকি; তাই নির্বাচনের আগে গণফোরামের হয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশ নিই। কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি। আমি তার বাইরে নেই। আবার তার দলেও যে আছি বা ফিরব এমনটিও নয়। আপাতত আমি আমার এলাকার মানুষকে নিয়ে আছি, তাদের জন্য কাজ করার কথা ভাবছি।’ 

দল ও জোটের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নেয়ার কারণে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে ৭ মার্চই বহিষ্কার করে গণফোরাম। কিন্তু শপথ নেয়ার সময়সীমার মধ্যে বিএনপির নির্বাচিত এমপিরা সংসদে যোগ দেয়ায় রাজনীতির হিসাব-নিকাশ বদলে যায়। এ অবস্থায় সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাকে দলে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। 

এ বিষয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, কথা ছিল কেউ শপথ নেবেন না। কিন্তু প্রথমে আমাদের দলের দুজন, শেষ মুহূর্তে বিএনপির পাঁচজন নির্বাচিত সদস্য শপথ নেন। বিএনপির সদস্যদের শপথ নেয়ায় স্বভাবতই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। এ অবস্থায় আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে তাদের ফেরত নেব।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ছয়জন জয়ী হন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন গণফোরামের দুজন। নির্বাচনের পরপরই ভোটে ব্যাপক অনিয়ম এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানোর পাশাপাশি তারা শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গণফোরামের দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ৭ মার্চ শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেন। তাকে অনুসরণ করে গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান শপথ নেন ২ এপ্রিল। এ দুজনকে অনুসরণ করে ২৫ এপ্রিল শপথ নেন বিএনপির মো. জাহিদুর রহমান। শপথগ্রহণের সময়সীমার শেষ দিনে এসে ২৯ এপ্রিল বিকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বিএনপির বাকি চার সংসদ সদস্য শপথগ্রহণ করেন।

বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সময়সীমার মধ্যে শপথ না নেয়ায় পর দিন ৩০ এপ্রিল তার সদস্যপদ শূন্য ঘোষণা করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম