ফাইল ছবি
শীর্ষ নেতারা সংসদে না যাওয়ার কথা বারবার বলে এলেও বিএনপি থেকে নির্বাচিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান শপথ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে তিনি শপথ নিয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুর রহমানের শপথগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুপুর ১২টায় সেই আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে জাহিদুর রহমান শপথ নেয়ার বিষয়ে তার আগ্রহের কথা জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীর শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দেন।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদের অনুরোধেই শপথের এ আয়োজন করা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে (পীরগঞ্জ–রানীশংকৈল) তিন সাবেক সাংসদকে হারিয়ে বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান নির্বাচিত হন।
জাহিদুর রহমান ১৯৯১ সাল থেকে নির্বাচন করছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর পর মানুষের সহানুভূতির কারণে তিনি এবার জয়ী হতে পেরেছেন।
জাহিদুর রহমান (ধানের শীষ) ৮৮ হাজার ৫১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমদাদুল হক। তিনি ৮৪ হাজার ৩৮৫ ভোট পান।
রংপুর বিভাগের মধ্যে জাহিদুর রহমানই একমাত্র বিএনপির প্রার্থী, যিনি জয়ী হতে পেরেছেন।
এর আগে বিএনপির অপর এক নীতিনির্ধারক যুগান্তরকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দুজন এমপি শপথ নিতে পারেন আমাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন এবারই প্রথম নির্বাচিত হয়েছেন। আরেকজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী। আমরা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছি। আশা করছি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে তারা যাবেন না।
সূত্র জানায়, দলের চাপে নির্বাচিতরা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে শপথ নিতে না পারলে সময় বৃদ্ধির জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারেন। স্পিকার চাইলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শপথ নেয়ার সময় বৃদ্ধি করতে পারেন।
শপথগ্রহণের সময় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক যুগান্তরকে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী কারও সদস্যপদ শূন্য ঘোষণা করা না করার পুরো এখতিয়ার একমাত্র স্পিকারের। ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে কোনো সদস্য শপথ না নিলে তিনিই করণীয় ঠিক করবেন। এ ক্ষেত্রে স্পিকার নির্বাচিত সদস্যকে শপথ নেয়ার জন্য আবারও সময় দিতে পারেন, নাও পারেন।