‘আ’লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতিতেই মিয়ানমারের স্পর্ধা বাড়ছে’
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৪৫ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি-যুগান্তর
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণেই মিয়ানমার বাংলাদেশকে নিয়ে দুঃসাহস দেখানোর স্পর্ধা পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা ‘মিডনাইট ভোটের’ এই সরকার দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে।
তিনি বলেন, বারবার মিয়ানমার সরকারিভাবে তাদের ওয়েবসাইটে সে দেশের মানচিত্রে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে নিজের অংশ হিসেবে দেখাচ্ছে। সে দেশের আরাকান রাজ্যের দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অধিবাসীকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করেছে। এখন সেখানকার সংখ্যালঘু উপজাতিদেরও তাড়িয়ে বাংলাদেশে ঢোকাচ্ছে।
‘এ নিয়ে জাতির ঘাড়ে জোর করে চেপে বসা আওয়ামী দানব সরকার কিছু করতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতিবাদ করা তো দূরে থাক, বরং মিয়ানমারের বাংলাদেশবিরোধী নীতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন শেখ হাসিনা।’
সারাবিশ্বে যখন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দিচ্ছিল, সেসময় প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন বলেও জানান বিএপির এ নেতা।
অনেকটা বিস্ময় প্রকাশ করে রিজভী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হচ্ছে না কেবল ‘মিড নাইট’ সরকারের নতজানু নীতির কারণে। বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে মিয়ানমার তাদের দেশের অংশ করে নিতে চাইবে আর আমরা কিছুই করব না! শুধু দূতকে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ করলেই সব শেষ হয়ে যায় না।
‘এটি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। তারা একবার না কয়েকবার একই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে।’
তিনি আরও বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসেও মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন, জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়সহ সে দেশের অন্তত তিনটি ওয়েবসাইটের মানচিত্রে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে তাদের দেশের অংশ হিসাবে দেখানো হয়। তখনও এই গণবিচ্ছিন্ন সরকার কেবল নামকাওয়াস্তে প্রতিবাদ করে চুপ হয়ে যায়।