পিরোজপুর-১: প্রচারে এগিয়ে রেজাউল, সহানুভূতিতে সাঈদীপুত্র শামীম
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:৩৪ এএম
ফাইল ছবি
নানা কারণেই পিরোজপুর-১ আসনটি এবারের নির্বাচনে বেশ আলোচিত। এই আসনে প্রধান দুই জোট থেকে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা নবীন। জাতীয় নির্বাচনে তারা আগে কখনেই অংশ নেননি।
এ আসনটিতে একসময় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য সুধাংশু শেখর হালদার ও জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মধ্যে।
হিন্দু অধ্যুষিত এ এলাকার ভোটারদের মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন চোখে পড়ার মতো। হিন্দু অধ্যুধিত হওয়া সত্ত্বেও এ আসন থেকে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। মানবতাবিরোধী অপরাধের দণ্ড নিয়ে তিনি এখন জেলে।
তাই এ আসনে এবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদীকে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন এ আসনে রাজত্ব করা নৌকার নতুন মাঝি হয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম।
গত ১৮ দিন দুই প্রার্থীই বিরামহীন প্রচার চালিয়েছেন। রেজাউল করিমের প্রচারে জামায়াতের যুদ্ধাপরাধ ইস্যু প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি বারবার একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। প্রচারে তিনি এগিয়ে ছিলেন শুরু থেকেই।
অন্যদিকে শামীম সাঈদীর প্রচারে তার বাবা দেলাওয়ার সাঈদীর প্রসঙ্গটি বারবার উঠে এসেছে। তার বাবার প্রতি সরকার জুলুম করেছেন, এমন অভিযোগ বারবার করেছেন শামীম সাঈদী। ভোটাররা এ আসনের সাবেক এমপি সাঈদীর প্রতি সহানুভূতিশীল। সেই সহানুভূতিই যোগ হয়েছে শামীম সাঈদীর ঝুলিতে।
পিরোজপুর-১ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১৫ হাজার ১৭ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৮ হাজার ৬৫২ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬ হাজার ৩৬৫ জন। ভোট ভোটকেন্দ্র ১৬৯টি।
পিরোজপুর-১ আসনে ১৯৯১ সালে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সুধাংশু শেখর হালদার।
’৯৬ সালে তাকে হারিয়ে জয়ী হন জামায়াতের দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ২০০১ সালেও আসনটি থাকে সাঈদীর দখলে।