
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীরের নেতাকর্মীদের আটকের দৃশ্য। ছবি: যুগান্তর।
সিলেট-১ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীরের সর্বশেষ নির্বাচনী সমাবেশ পুলিশি বাধার মুখে পণ্ড হয়ে গেছে।
কোর্ট পয়েন্ট ও আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী ও সাধারণ পথচারীকে আটকের দাবি করেছে বিএনপি প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মোক্তাদীর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশি বাধার মুখে সর্বশেষ নির্বাচনী সমাবেশ না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হন তিনি।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট নগরী আম্বরখানা নূরে আলা কমিউনিটি সেন্টারে খন্দকার মুক্তাদীরের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ ও বিজিবি।
পুলিশি বাধার মুখে সমাবেশ করতে না পেয়ে কোর্ট পয়েন্টে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীর বলেন, আওয়ামী লীগের এই জুলুম আল্লাহ সহ্য করবে না। এই অন্যায় জুলুমের বিচার সিলেটবাসীর কাছে দিলাম।
খন্দকার আব্দুল মুক্তাদীর বলেন, কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আমার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডের নুরে আলা কমিউনিটি সেন্টারে তল্লাশির নামে পুলিশ-বিজিবি তাণ্ডব চালিয়েছে। কার্যালয়ে কর্মরত নিরপরাধ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাদ মাগরিব কোর্ট পয়েন্টে আমার পূর্ব নির্ধারিত শেষ নির্বাচনী সভা পণ্ড করে দিয়ে সেখান থেকে প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। আমার সঙ্গে পুলিশ খুব বাজে আচরণ করেছে। আমার নিশ্চিত বিজয় নস্যাৎ করতেই প্রশাসনকে আমার বিরুদ্ধে নগ্নভাবে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাকশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ধানের শীষের সমর্থনে সিলেটে জনতার যে স্রোত নেমেছে তা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনতার এই বাঁধভাঙা স্রোতকে রুখে দেয়ার সাধ্য কোনো অপশক্তির নেই।
ভয়কে জয় করে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে শুধু ভোট প্রদান করে নয়, ভোটকে রক্ষাও করতে হবে। ইতিহাস সাক্ষী সিলেটের পুণ্যভূমিতে ভোট লুটপাটকারীদের শেষ রক্ষা হয় নাই। ৩০ ডিসেম্বর আমরা বিজয় নিয়েই ঘরে ফিরব।