হামলার ঘটনায় মামলা, বাদীকে চেনেন না গয়েশ্বর

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৫ পিএম

হামলায় আহত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি-যুগান্তর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় বিএনপি কর্মী মো. হৃদয় বাদী হয়ে বুধবার মামলাটি করেছেন।
কিন্তু মামলা বা অভিযোগ দেয়ার কথা অস্বীকার করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, আমি বা বিএনপির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো অভিযাগ দেইনি। হৃদয় নামে কাউকে আমি চিনি না। এ নামে আমাদের কোনো কর্মী নেই।
মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনী গণসংযোগকালে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলাকারীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মাথা ফেটে যায়। হামলায় বিএনপির অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়।
এদিকে মামলার পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বুধবার যুবলীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগের সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. সবুজ মিয়া (৩৯), সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক শরীফ হোসেন ফালান (৩৬) ও শুভাঢ্যা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মো. মামুন।
গ্রেফতারকৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করলে ওই দিনই তারা জামিন পেয়ে যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই খোরশেদ আলম বলেন, মামলায় আসামিদের কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। ৩০০ থেকে ৪০০ অজ্ঞাত লোককে আসামি করা হয়েছে। আমরা সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত থেকে তারা জামিন পেয়েছেন।
মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু বলেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা কোনো অভিযোগ করিনি। ‘আইওয়াশ’ করতে পুলিশ সাজানো মামলা করেছে।
এসব বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, একটা অপরাধ সংগঠিত হলে তার প্রতিকার চেয়ে যে কেউ মামলা করতে পারেন। হৃদয় নামে এক ব্যক্তি নিজেকে বিএনপি কর্মী দাবি করে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।