
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০২ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

আরও পড়ুন
‘আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) মনে করে যে গত রেজিমের দেওয়া বিভিন্ন মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে ২০২৬-এর নভেম্বরে অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে বেড়িয়ে এসে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার রূপকল্প দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে। দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশ যে যে কারণে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য উপযোগী ও প্রতিযোগিতামূলক, তা আর থাকবে না। তাই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা স্থানীয় বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এবি পার্টি।’
বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫ ও অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো বিষয়ে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা ও আনোয়ার সাদাত টুটুল।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘এবি পার্টি মনে করে দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রাসঙ্গিক সব পরিসংখ্যান যাচাই-বাছাই করে পুনঃপ্রকাশ জরুরি। দেশের মোট জনসংখ্যা (প্রবাসী ও কর্মক্ষম তরুণসহ), জিডিপির পরিমাণ, মাথাপিছু গড় আয় ও আয়ু, বাৎসরিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী, শিক্ষা ও দক্ষতার হার, ক্রয় ক্ষমতা সম্পন্ন দেশীয় বাজারের পরিধি, রিজার্ভ ও ঋণের পরিমাণ, বৈশ্বিক ক্রেডিট রেটিং ইত্যাদির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রকাশ করা জরুরি যাতে তারা ভেবেচিন্তে সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এবি পার্টি মনে করে যেকোনো বিনিয়োগকারীকে স্থানীয় ও রপ্তানি বাজার সামনে রেখে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হয়। সেক্ষেত্রে স্থানীয় বাজারের সক্ষমতা, দুনিয়াজুড়ে রপ্তানির সম্ভাবনা, অবকাঠামোগত সুবিধা, প্রতিযোগিতামূলক কর/ভ্যাট আছে কিনা, জ্বালানি নিরাপত্তা, স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ, ব্যাংক ঋণ/ডলারের মজুদ ইত্যাদি সব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার বাস্তবভিত্তিক পথ নকশা জরুরি।’
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতাকে সাধুবাদ জানাই, বিনিয়োগ সম্মেলনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তাকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে। এলডিসি উত্তরণের উদ্যোগকে স্থগিত করতে হবে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে।’