
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ চায় গণসংহতি আন্দোলন

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম

সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া সুপারিশ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন।এতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ৯০ শতাংশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে দলটি।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশন সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদারের কাছে নিজেদের মতামত হস্তান্তর করে গণসংহতি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদল।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।তিনি বলেন, ১৬৬টি সুপারিশের প্রত্যেকটির বিষয়ে আমরা মতামত জানিয়েছি। এরমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ প্রস্তাবের ব্যাপারে আমাদের ঐকমত্য আছে। ১০ শতাংশের বিষয়ে আমাদের কোথাও আংশিক ঐকমত্য আছে বা বিরোধিতা আছে বা নতুন প্রস্তাবও আছে।
তিনি বলেন, জনগণের অভিপ্রায়কে স্বীকৃতি দিতে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ চান তারা।
কীভাবে সংবিধান সংস্কারের কাজ হবে, সে বিষয়েও মতামত তুলে ধরেছে দলটি।আবুল হাসান রুবেল বলেন, সংবিধান সংস্কারের কাজটা কীভাবে হবে এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে- একটা সংবিধান সংস্কার পরিষদের মাধ্যমে এটা হবে।
সংবিধান সংস্কারের বিষয়টি জনগণের বহু দিনের ‘আকাঙ্ক্ষা’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘জনগণের অভিপ্রায়কে স্বীকৃতি দিতে সংবিধান সংস্কার পরিষদ নির্বাচন চান তারা। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে সংবিধান সংস্কার পরিষদ নির্বাচন হতে পারে।’
আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘কেন আমরা নতুন গণপরিষদ বলছি না বা জাতীয় সংসদে সংশোধনের কথা বলছি না, আমরা বলছি, যে সংবিধান আছে তার খোলনলচে পাল্টে ফেলার দরকার নেই, ফেলে দেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু দৃশ্যত ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তন দরকার। সেদিক থেকে সংবিধানের সংস্কার জনগণের অভিপ্রায় আকারে যাতে আসে।এ জন্য একটা সময়সীমার মধ্যে কাজটা সম্পন্ন করা যেতে পারে।’
এ বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আরও বলেন, ‘এক্ষেত্রে কারা সরকার গঠন করবে, কারা সংবিধান করবে এ জটিলতাও পোহাতে হবে না। সব দল মিলে এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে আসা সম্ভব। সংস্কার ও নির্বাচনের ভেতরে যে বিরোধ জিইয়ে রাখা হয়েছে তা যেন না থাকে সে জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচনের প্রস্তাব করা হয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধিদলে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনিরউদ্দীন পাপ্পু, দীপক রায়, জুলহাসনাইন বাবু ও বাচ্চু ভূঁইয়া।