Logo
Logo
×

অন্যান্য

সংস্কার সুপারিশের ১২০ প্রস্তাবে একমত, ৪২টিতে না এলডিপির

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম

সংস্কার সুপারিশের ১২০ প্রস্তাবে একমত, ৪২টিতে না এলডিপির

ফাইল ছবি

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের প্রথম দিন নিজেদের মতামত ও অবস্থান তুলে ধরেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।

দলটির চেয়ারম্যান অলি আহমেদ বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংস্কার সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ১৬৬টি প্রশ্নমালার যে স্প্রেডশিট পাঠিয়েছে, তার মধ্যে ১২০টির বিষয়ে এলডিপি একমত।

বাকি ৪২টি প্রস্তাবের সঙ্গে এলডিপি একমত নয়। দুটো প্রস্তাবের সঙ্গে আংশিকভাবে একমত। দুটি প্রস্তাবের বিষয়ে তারা এখনো স্পষ্ট নয়।

তবে কোন কোন প্রস্তাবের সঙ্গে এলডিপি একমত বা একমত নয়, তা খোলাসা করেননি অলি আহমেদ।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এলডিপির এই বৈঠক হয়।

কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজ এবং সদস্য পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন সংলাপে। এছাড়া ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

অলি আহমেদ নেতৃত্বে এলডিপির ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন-মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, কে কিউ সাকলায়েন, ওমর ফারুক, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অলি আহমেদ বলেন, সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, ১টিতে আংশিকভাবে একমত এবং দুটো প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে তারা মনে করেন।

বিচার বিভাগ সংস্কারের ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ২২টির বিষয়ে এলডিপি একমত, একটির সঙ্গে আংশিকভাবে একমত।

দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের ২০টি প্রস্তাবের সবগুলোর সঙ্গেই একমত এলডিপি। জনপ্রশাসন সংস্কারের ২৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১টিতে এলডিপি একমত, ১৫টিতে একমত নয়। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ২৭ প্রস্তাবের মধ্যে ১৬টিতে একমত এবং ১১টিতে একমত নয় বলে কমিশনকে জানিয়েছেন এলডিপি।

অলি আহমেদ বলেন, ‘সবগুলো সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কারের সুপারিশ দুর্বল ছিল। তারা অতীতের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ করেছিল তার কাগজ সংগ্রহ করা উচিত ছিল।’

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে দুই ধরনের সরকারি কর্মকর্তার ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আপনি যত কিছুই করেন না কেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না যদি দুইজন লোক কাজ না করে, একজন ওসি, আরেকজন হল ইউএনও।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে।

২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেন। এরইমধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্যে গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম