সৌদিতে আটক জুলাইয়ের ১২ রেমিট্যান্সযোদ্ধাকে ঈদের আগে মুক্তির দাবি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম

ছবি: সংগৃহীত
জুলাইয়ে কোটা আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে রেমিট্যান্স বয়কট আন্দোলন করা ১২ জন প্রবাসী সাত মাস ধরে সৌদি কারাগারে অন্তরীণ আছেন। তাদেরকে ঈদের আগে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্য ও জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
রোববার জাতীয়
প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এতে ভিক্টিম
পরিবারের সদস্য মো. আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী
পরিবারের সদস্য মোসা. শিল্পী বেগম, মো.পারভেজ হোসেন, মো. জিয়াউর রহমান, রুনা আক্তার,
মন মিয়া, জামিল হোসেন, মো. ইয়াসিন, সুজন, মো. মামুন হোসেন, মিজানুর রহমান রানা প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য
দেন, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় বিপ্লবী
পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, অগ্রগামী মিডিয়া ভিশনের
নির্বাহী পরিচালক গোলাম ফারুক মজনু, জাগো শিশু কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. জামাল
শিকদার প্রমুখ।
মানববন্ধনে
আটক প্রবাসীদের পরিবার জানায়, জুলাই গণহত্যার কারণে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে
সারা বিশ্বের প্রবাসীরা রেমিট্যান্স বয়কট আন্দোলন করেছিল। হাসিনার পতনের মাধ্যমে সেই
আন্দোলন সফল হয়। তখন সৌদি প্রবাসীরা শুকরিয়া মাহফিলের আয়োজন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের
দোসররা সৌদি আরবের পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১২জন প্রবাসীকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকে
আট মাস ধরে তারা কারাগারেই বন্দি আছেন।
আটক হওয়া ১২
জন হলেন-মো. বাদল, ইসমাইল হোসেন, মো. কাউসার হোসেন স্বপন, এরশাদ, জুয়েল রানা, মো. শাকির
হোসেন, মো. হাবিবুর রহমান, মো. আবুল হোসেন, মোহাম্মদ জামিল হোসাইন, মোহাম্মদ ইয়াকুব,
সাদ্দাম হোসাইন ও মাসুদ গাজী।
আটককৃত ইসমাইল
হোসেনের বড় ভাই আহসান উল্লাহ বলেন, আটক ১২ জনের মুক্তি দাবিতে পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন
জায়গায় আবেদন করা হয়েছে। আট মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও তাদের মুক্তির কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা
পাওয়া যাচ্ছে না। সৌদিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ
করেনি। সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও রাষ্ট্রদূত আওয়ামী দোসর হওয়ায় নিরবতা পালন করছেন।
মানববন্ধন শেষে
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনী ইহসানের নির্দেশনায় দলের সহকারী সদস্য সচিব মোহাম্মদ
অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার ও জাতীয় মানবাধিকার সমিতি চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসাসহ
একটি প্রতিনিধি টিম পরিবারগুলোর কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
স্বরাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে ঈদের আগেই
আটক ১২ প্রবাসীকে ঈদের আগে সৌদি কারাগার থেকে মুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।
অলিদ তালুকদার
জানান, ১২ প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাকে কারামুক্ত করতে তাদের পরিবারের পাশে আমাদের
দল জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ আছে। আমাদের দল সব সময় মজলুমদের খেদমত করে যাবে।