কাশেম হত্যা: আ.লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম

গাজীপুরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত কাশেমের (২০) নিহতের ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
দলটি কাশেমের শাহাদাতের পর ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারকে আর গড়িমসি না করার আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়াও দলটির দাবি, শহিদ কাশেমকে হত্যার জন্য ভারতে পলাতক আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরসহ মামলায় নাম উল্লেখ থাকা ২৩৯ জন আসামিকে ডেজিগনেটেড সন্ত্রাসী ঘোষণা করতে হবে। তাহলে তারা বিদেশেও আশ্রয় নিতে পারবে না।
বুধবার বিকালে দলের সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শহিদ কাশেম গাজীপুর বোর্ডবাজার দক্ষিণ কলমেশ্বর গ্রামের মরহুম জামাল হাজির এতিম সন্তান। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা হয়েছে জানালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনিও সাহায্যের জন্য যান। কিন্তু সেই বাড়িতে অবস্থান করা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নির্যাতন করে। সেখানে ব্যাপকভাবে নির্যাতিত পাঁচজনের মধ্যে কাশেম ও ইয়াসির আরাফাতকে মাথায় কোপানের কারণে তাদেরকে আইসিউতে রাখতে হয়েছিল। এদের মধ্যে কাশেম বুধবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদতবরণ করেছেন।
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের বিপ্লবের এতদিন পরও আওয়ামী লীগকে ডেজিগনেটেড ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়নি। বরং ইনিয়ে বিনিয়ে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের কথা বলা হচ্ছে। এতে শেখ হাসিনাসহ ফ্যাসিস্ট সাইকোপ্যাথ আওয়ামীরা আশকারা পেয়ে জুলাই গণহত্যার মতো ফের হত্যার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। গাজীপুরের ঘটনার মধ্য দিয়ে নতুন হত্যাযজ্ঞ শুরুও হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় গাজীপুরের ফ্যাসিবাদী হামলা ও শহিদ কাশেম হত্যার জন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিরোধিতাকারী উপদেষ্টা, রাজনীতিক ও নাগরিক সমাজকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ বলছে, ছাত্রজনতাকে আওয়ামী লীগের কবল থেকে বাঁচাতে অপরিণামদর্শী সুশীলতা ছাড়ুন ও ফ্যাসিবাদী দলকে নিষিদ্ধ করতে আওয়াজ তুলুন।