নাগরিক কমিটির সভায় সারোয়ার তুষার
আওয়ামী লীগ ইতিহাসে কালপ্রিট রাজনৈতিক দল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের ইতিহাসের সঙ্গে ভয়ঙ্কর প্রতারণা করেছে। তারা গত ১৫ বছরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ইতিহাস মুছে দিয়ে এক ব্যক্তি ও এক দল কেন্দ্রিক ইতিহাস তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসে কালপ্রিট রাজনৈতিক দল।
বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যোগেন মন্ডলের ১২২তম জন্মদিন উপলক্ষে দলিত, হরিজন ও তফসিলি পরিষদ এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন, সহ-মুখপাত্র মুশফিক উস সালেহীন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. মাজহারুল ইসলাম, দলিত-হরিজন ও তফশিলি পরিষদের আহ্বায়ক ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু, নাগরিক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন শিশির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয় নয়ন আহমেদ প্রমুখ।
আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য কৈলাশ চন্দ্র রবীদাস।
সারোয়ার তুষার বলেন, বিএনপি-আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের দলিত, হরিজন ও তফশিলিসহ ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের শুধুমাত্র ভোট ব্যাংক মনে করে। আপনাদের (দলিত, হরিজন ও তফশিলি সম্প্রদায়) নিজেদের অধিকার নিজেদের আদায় করতে হবে।রাজনৈতিকভাবে নিজেদের সুসংগঠিত করতে হবে।এজন্য প্রয়োজন গণপরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে যে নতুন সংবিধান তৈরি হবে, সেখানে আপনাদের অধিকার লিপিবদ্ধ থাকবে।নইলে আপনারা সবাই আগের জায়গায় থেকে যাবেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতি বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে আর আমরা বৈষম্যের রাজনীতি চাই না। আমরা চাই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের রাজনীতি।এজন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নয়ন আহমেদ বলেন, অনেকেই এই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু সবাই যোগেন মন্ডলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অথচ যোগেন মন্ডল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন।